০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বসনিয়ায় তুষারপাত, দুর্ভোগ বাড়ছে অভিবাসন প্রত্যাশীদের

বসনিয়ায় তুষারপাত, দুর্ভোগ বাড়ছে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের - ছবি : সংগৃহীত

শীত বাড়ার সাথে সাথে দুর্ভোগ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা ছিল অভিবাসন প্রত্যাশীদের। তবে দুর্ভোগ আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিলো শীত মওসুমের প্রথম তুষারপাত।

মওসুমের শুরু থেকেই শীতের হাত থেকে বাঁচতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তারা। বাইরের ঠান্ডা থেকে বাঁচতে পলিথিন দিয়ে অস্থায়ী ঘর তৈরি করেছেন অভিবাসন প্রত্যাশীরা। সেই পলিথিনের তৈরি ঘরেও জমছে কুয়াশা। রান্না ও শরীর গরম রাখার জন্য লাকড়ি সংগ্রহ করেছিলেন অনেকে। কিন্তু লাকড়ি সংগ্রহ করলেও দ্রুতই ফুরিয়ে আসছিল রসদ।

এদিকে বর্তমান অবস্থা নিয়ে বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, তুষারপাতের মধ্যেও বেশ কিছু অভিবাসনপ্রত্যাশী ওই পলিথিনের অস্থায়ী ঘরেই বসবাস করছেন।অনেকক্ষেত্রেই পলিথিনের তাঁবুর ওপর বরফ জমে তা বাঁকা হয়ে যাচ্ছে, ভেঙেও পড়ছে। উলের তৈরি টুপি, গরম পোশাক ও রেইনকোট পরে শীত মোকাবেলার চেষ্টা করছেন তারা। তবে প্রচণ্ড ঠান্ডার তুলনায় এসব ব্যবস্থা একেবারেই অপ্রতুল।

বাংলাদেশ থেকে আসা ৩০ বছর বয়সি শাহীন এপিকে বলেন, ‘এখন প্রচণ্ড ঠান্ডা, গত রাতে আমরা খুব সমস্যায় পড়েছিলাম। আমাদের কোথাও ঘুমানোরও জায়গা নেই।’

তুষারপাতের জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। অনেকে নিজেদের একমাত্র গরম কাপড় ধুয়ে শুকানোর জন্য ঝুলিয়ে রেখছিলেন। বরফ পড়ে মুহূর্তেই জামা-কাপড়-জুতা এমনকি রাতের একমাত্র সম্বল কম্বলও ভিজে যায়।

আরেক অভিবাসনপ্রত্যাশী বলেন, তিনি কোথাও থাকার জায়গা পাচ্ছেন না। পরিস্থিতি দিন দিন টিকে থাকার জন্য ‘অসম্ভব’ হয়ে পড়ছে।

১৯৯০-এর দশকে যুদ্ধের পর থেকে এখনো অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বসনিয়া। ভয়াবহ মূল্যস্ফীতির কারণে ইউরোপ মহাদেশের অন্যতম দরিদ্র দেশ হিসেবেই পরিচিত বসনিয়া। তার ওপর হাজার হাজার অভিবাসীর চাপ দেশটিকে আরো বিপদে ফেলেছে। এদিকে বসনিয়ার রাজনীতিবিদরা একমত না হওয়ায় সঙ্কট মোকাবেলায় সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছে না দেশটির সরকার।

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কেউই বসনিয়ায় থাকতে চান না। তাদের লক্ষ্য সীমান্তের ওপাড়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ ক্রোয়েশিয়া গিয়ে সেখান থেকে ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানির মতো অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশগুলোতে যাওয়া।

কিন্তু ক্রোয়েশিয়া সীমান্তে ব্যাপক কড়াকড়ির মধ্যে অবৈধভাবে পাড়ি দিতে গিয়ে ধরা পড়েন বেশিরভাগ অভিবাসনপ্রত্যাশী। তাদের ক্রোয়েশিয়া বা স্লোভেনিয়া থেকে বসনিয়ায় ফেরত পাঠানোর সময় নির্যাতন করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। ক্রোয়েশিয়া পুলিশের বিরুদ্ধে বারবার নির্যাতনের অভিযোগ উঠলেও এমন অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement