০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


আমার চরিত্রটা একটা ঝরনার মতো ঐশী

আমার চরিত্রটা একটা ঝরনার মতো ঐশী -

পুলিশ অ্যাকশন সাসপেন্স থ্রিলার চলচ্চিত্র ‘মিশন এক্সট্রিম’। গত রোজার ঈদে ছবিটি মুক্তির কথা থাকলেও মহামারীর কারণে তা সম্ভব হয়নি। অবশেষে ছবি মুক্তির দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে। নতুন বছর ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাবে মিশন এক্সট্রিম। সম্প্রতি ছবির দ্বিতীয় পোস্টার উন্মোচিত হয়েছে। এ ছবির গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। এটি তার প্রথম ছবি। অভিষেকেই করোনা বাধা হয়ে দাঁড়ায় ঐশীর। অবশেষে ছবি মুক্তির সময় নির্ধারণে বেশ উচ্ছ্বসিত তিনি। খবরটি প্রকাশের পর যোগাযোগ করা হয় তার সাথে। বলেন, ‘মিশন এক্সট্রিম আমার ডেবিউ ছবি। অভিনয় জগতে সবারই প্রত্যাশা থাকে নিজেকে বড় পর্দায় দেখার। আমারও তাই। আনন্দটা একেবারে অন্য রকম। যদিও ছবিটি মুক্তি পেতে এখনো দেরি আছে।’
দর্শকরা কতটা আনন্দিত হবেন মিশন এক্সট্রিম দেখে? এ প্রশ্নের জবাবে ঐশী বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহে একটা আলোচিত চলচ্চিত্র। সিনেমাপ্রেমীদের অনেক প্রত্যাশা ছবিটি ঘিরে। আশা করছি ভালো লাগবে দর্শকদের। অনেক কষ্টের ফসল মিশন এক্সট্রিম। এটি নির্মাণে নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী, প্রডাকশন টিম সবাই অনেক কষ্ট করেছেন।’
‘অনেক বড় পরিসরের ছবি মিশন এক্সট্রিম। বর্তমানে এ ধরনের চলচ্চিত্র তৈরি শুরু হয়েছে কিন্তু মিশন এক্সট্রিমের আগে এ রকম ছবি আর হয়নি। ছবির নির্মাণ অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। এত লোকজন নিয়ে চলচ্চিত্র হয় আমি তো বিস্মিত হয়েছিলাম। ১০০-১৫০ জন মানুষ কাজ করেছে। পরের ছবিগুলো করতে গিয়ে বুঝতে পেরেছি এটা আসলে কত বড় পরিসরের ছবি। বিশাল আয়োজন ছিল। একদিনে চার-পাঁচ জায়গায় শুটিং হয়েছে। এমনো হয়েছে শুটিং এক সেটে কিন্তু আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্য সেটে- ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে জানালেন ঐশী। মিশন এক্সট্রিমের টিজার প্রকাশ পায় গত বছর ১২ মার্চ। ১ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের টিজারে অ্যাকশনে ভরপুর এক ছবির আভাস পাওয়া যায়। এতে খুব অল্প সময়ের জন্য দেখা মেলে ঐশীর। তাতে ঠিক বোঝা যায় না ছবিতে তার চরিত্র সম্পর্কে। তাই তার চরিত্রটি আসলে কেমন জানতে চাইলে কোনো কিছুই বলতে নারাজ অভিনেত্রী। পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন- টিজার দেখে তার চরিত্রটা বোঝা গেছে কি না? তারপর নিজেই বললেন, ‘পরিচালক সানী ভাই আমার চরিত্রটিকে যেভাবে ব্যাখ্যা করেন পুরো ছবিটা যদি একটা মরুভূমি হয়, মাঝখানে আমার চরিত্রটা একটা ঝরনার মতো।’
মিশন এক্সট্রিম ছাড়াও ঐশী ‘আদম’ ও ‘রাত জাগা ফুল’ নামে দুটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। ছবিগুলোর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ঐশী বলেন, ‘রাত জাগা ফুল’ ছবিটি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত। পরিচালনা করছেন মীর সাব্বির ভাই। ছবির শুটিং অনেক আগেই শেষ। এখন ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ও সম্পাদনার কাজ চলছে। আদম ছবিটির কিছু কাজ বাকি আছে।’ এ দিকে মিশন এক্সট্রিমের প্রথম অংশের ডাবিং শেষ করলেও বাকি আছে দ্বিতীয় অংশের ডাবিং। কথায় কথায় ঐশী কিছু নতুন চলচ্চিত্র প্রজেক্টের কথা জানালেন। গল্প শুনেছেন। বাকি আছে চিত্রনাট্যগুলো পড়া। বর্তমানে ঐশী ব্যস্ত রয়েছেন পড়াশোনা নিয়ে। ক্লাস, পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট সব ঘিরে রয়েছে তাকে। এখন অনেক অভিনয়শিল্পী ওয়েব প্লাটফর্মে কাজ করছেন। ঐশীর কাজের ইচ্ছা আছে কি না জানতে চাওয়া হয়। তার কথায় বোঝা গেল ওয়েব সিরিজ নয়, ওয়েব ফিল্মে তার আগ্রহ। তবে তার প্রথম ছবি মিশন এক্সট্রিম মুক্তির পরই তিনি ওয়েব ফিল্মে কাজ করতে চান। অনেকের মতো তিনিও নিজেকে বড় পর্দায় দেখতে ইচ্ছুক। তাই লকডাউনে ওয়েব ফিল্মের অফার পেয়েও, এমনকি গল্প পছন্দ হওয়ার পরও তিনি কাজ করেননি। ‘ওয়েব ফিল্মের স্টোরিটা ভালো ছিল। কাজ করলে এতদিনে মুক্তিও পেত। করিনি কারণ আমি তো শুরুটা করেছি বড় পর্দা দিয়ে। ডেবিউ ফিল্মটা এখনো মুক্তি পায়নি। আমার প্রত্যাশা দর্শকরা প্রথমে আমাকে বড় পর্দায় দেখুক’- বললেন ঐশী। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা এসেছে বেশ আগেই। প্রয়োজন না থাকলে খুব বেশি বাইরে যাচ্ছেন না ঐশী। মাঝে কিছু প্রমোশনের কাজ করেছেন। এর বাইরে আপাতত বাড়িতে পড়াশোনা করছেন, এভাবেই কাটছে তার সময়।


আরো সংবাদ



premium cement