২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নিরুদ্দেশ হয়ে যাচ্ছে শিশু-কিশোর

সংশ্লিষ্টরা বেখবর হয়ে আছে

-

শিশু-কিশোর নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে। রাজধানীর সাতটি থানা থেকে গত তিন মাসে ৪২৪ শিশু-কিশোর ‘নিরুদ্দেশ’ হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা চমকে যাওয়ার মতো। কেন এমনটি হচ্ছে তা নিয়ে কোনো জরিপ হয়নি। কম বয়সী শিশু-কিশোরদের এভাবে গায়েব হওয়ার পেছনে ইন্টারনেটের বিপুল ব্যবহারের বিষয়টি স্পষ্ট করে বোঝা যায়। এই সময়ে সেটি আরো বেড়ে যাওয়ার কারণও আঁচ করা যাচ্ছে। সেটি হচ্ছে, করোনা মহামারীর মধ্যে ঘরে আবদ্ধ হওয়া জীবনযাপন। সামাজিক মাধ্যমের সুবিধায় এ সময় উঠতি বয়সের কিশোররা জড়িয়ে পড়ছে প্রেম ভালোবাসায়। মানসিক চাপের বিপরীতে তারা যখন কোনো আহ্বান পায় যাচাই-বাছাই না করে তাতে সায় দেয়। এ ছাড়া মুক্ত ও স্বাধীন উন্নত জীবনের প্রত্যাশায় অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে যেতে পারে। তবে এ বিষয়টি নিয়ে সমীক্ষা হওয়া প্রয়োজন। সারা দেশে কত কিশোর-কিশোরীর ক্ষেত্রে এমনটা ঘটছে তা জানতে হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের সাতটি থানায় করা জিডি থেকে একটি সহযোগী পত্রিকার সংবাদসূত্রে এ বিপুলসংখ্যক কিশোর-কিশোরীর নিরুদ্দেশ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরÑ তিন মাসে করা জিডি থেকে পাওয়া তালিকায় দেখা যাচ্ছে, মিরপুর মডেল থানায় ১০৫ জন, পল্লবীতে ১১৪, কাফরুলে ৪৫, দারুস সালামে ৩৭, ভাসানটেকে ৩০, শাহ আলীতে ৪০ ও রূপনগর থানায় ৫৩ জন নিখোঁজ হয়েছে। পল্লবী থানা এলাকা থেকে চলতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে ১৫ কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার জিডি করা হয়েছে। তবে এদের মধ্যে আড়াইশ’র মতো স্বেচ্ছায় বাড়ি ফিরেছে। বাকিদের উদ্ধারের পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
এসব ঘটনায় বিশেষজ্ঞদের মতামত হচ্ছেÑ কম বয়সীরা পরিবারে যতœ পাচ্ছে না। চার দিকে বেরিয়ে পড়ার সুযোগ যখন বন্ধ, এই সময় দেখা যাচ্ছেÑ বাবা-মা নিজেরাও সামাজিক মাধ্যম নিয়ে ব্যস্ত। এর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে তাদের ওপর। ৩০ সেপ্টেম্বর পল্লবী এলাকার তিন তরুণী বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তাদের উদ্ধারের পর জানা গেল, একটি মানব পাচারকারী দলের খপ্পরে পড়েছিল তারা। তাদের জাপান যাওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। সময়মতো উদ্ধার না করা হলে তাদের জীবন হুমকির মধ্যে পড়ত। হারিয়ে যাওয়ার আরো বহু কারণ থাকতে পারে, সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে।
রাজধানীর মাত্র সাতটি থানায় কিশোর-কিশোরী হারিয়ে যাওয়ার সংখ্যা থেকে বোঝা যাচ্ছে, এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর ব্যাপার। তিন মাসে এ থানাগুলো থেকে চার শতাধিক নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটলে সারা দেশে এ সংখ্যা কত, এভাবে হারিয়ে যাওয়ার সাথে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভূমিকা কতটা সম্পর্ক রয়েছে, কখন থেকে হারানোর ঘটনা বেশি হারে বেড়েছে, এসব ব্যাপারে পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন পর্যন্ত সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এর জন্য সমন্বিত কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে দেখা যায় না। অন্য দিকে কন্যাশিশু যখন নিখোঁজ হয় অভিভাবকরা তখন ভয় ও আশঙ্কার সাথে সাথে লজ্জা শরমের মধ্যে পড়ে যাচ্ছেন। সারা দেশে হারিয়ে যাওয়া একটি প্রবণতা হয়ে গেছে। আমাদের সমাজের অভ্যন্তরে একধরনের অবক্ষয়ের ফলে এটি সৃষ্টি হয়েছে। এ থেকে শিশু-কিশোরদের রক্ষা করতে হলে সঠিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা জরুরি। সরকার ও সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে এজন্য কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
মিয়ানমারের জাতীয় গ্রন্থাগারে বাংলাদেশ দূতাবাসের বই অনুদান ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশী প্রভুদের দাসত্ব করছে : কাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু সুলতান মাহমুদকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৫ মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন

সকল