২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
যুক্তরাষ্ট্র-চীন অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা

সমঝোতা ও সম্প্রীতি সবার কাম্য

-

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বিরোধ ক্রমে নতুন মাত্রা পাচ্ছে। উভয় দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুযোগ খুঁজছে। মনে হচ্ছে সুপার পাওয়ার আমেরিকা তাদের হাতে থাকা সর্বশেষ কার্ডগুলো খেলতে শুরু করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও যুক্তরাজ্যে গিয়ে চীনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জোট গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র কেন এতটা অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে চীনের বিরুদ্ধে তার উত্তর খুঁজছেন অনেকে। যেসব অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্র করে আসছে গোয়েন্দাবৃত্তি ও তথ্য হাতিয়ে নেয়ার একই অভিযোগ আগে থেকে রয়েছে। করোনা সংক্রমণের কারণে পুরো বিশ্ব বড় বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বিশ্বের শীর্ষ দু’টি দেশের মধ্যে এমন সাপে-নেউলে সম্পর্ক পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলবে।
যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে হিউস্টনে চীনা কনসুলেট বন্ধ করে দেয়। তাদের নতুন অভিযোগ হচ্ছেÑ পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) চার সদস্য পরিচয় গোপন করে আমেরিকায় অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে ইতোমধ্যে তারা গ্রেফতার করেছে। চীনা সামরিক বাহিনীর এসব পরিচয় গোপন করা সদস্যরা শত শত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে। এমন কি করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কার সংক্রান্ত তথ্যও চুরির চেষ্টা করেছে। তাদের মতে, স্পর্শকাতর তথ্য হাতিয়ে নিতে পরিকল্পনা করে চীন সরকার পিএলএর প্রশিক্ষিত সদস্যদের পাঠিয়েছে। কনসুলেট বন্ধ করার জবাব চীনও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দিয়েছে। তারা সিচুয়ান প্রদেশের চেংদুতে মার্কিন কনসুলেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। একটি দূতাবাস ছাড়াও চীনে এ ধরনের আরো পাঁচটি আমেরিকান কনসুলেট রয়েছে। যতটুকু জানা যাচ্ছে চীন রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ আমেরিকান কনসুলেটটি বন্ধ করে দিচ্ছে।
মার্কিন কনসুলেট বন্ধ করে এক বিবৃতিতে চীন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অযৌক্তিক পদক্ষেপগুলোর বৈধ ও উপযুক্ত জবাব দিতেই পাল্টা ব্যবস্থা। এই তিক্ত সম্পর্কের জন্য চীন দায়ী নয়। এর সম্পূর্ণ দায় যুক্তরাষ্ট্রের। ট্রাম্প প্রশাসনের আমেরিকা ফাস্ট নীতি অনুযায়ী চীনের বিরুদ্ধে শুরু থেকে নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করে আসছে। সেই রুটিন ধারাবাহিকতা এখন যেন হঠাৎ করে লাফ দিলো। চীনের টেলিকম কোম্পানি হুয়াওয়ের সাথে চুক্তি বাদ দেয়ায় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে আমেরিকার পক্ষ থেকে। করোনায় সারা বিশ্বে ভয়াবহ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে এমনকি নিজ দেশে সৃষ্ট অবস্থার কোনো দায়দায়িত্ব নিতে সক্রিয়তা দেখাচ্ছে না ট্রাম্প প্রশাসন। এ ধরনের একটি পরিস্থিতিতে চীনের ওপর একের পর এক কামান দাগানোর নীতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন জনপ্রিয়তা হ্রাসের মধ্যে ট্রাম্প কি চীন ইস্যু দিয়ে বৈতরণী পার হতে চাচ্ছেন। এমনটা চরম অন্যায় একটি কাজ হবে।
আমেরিকা নিজে সারা বিশ্ব থেকে গুটিয়ে নিলেও দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের উপস্থিতি নিয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সক্রিয়। সেখানে চীনের পাশাপাশি মহড়া চালিয়ে উত্তেজনা বজায় রাখতে চাচ্ছে। তারা ওই অঞ্চলের নিরাপত্তার চেয়েও চীনকে ঠেকিয়ে রাখার নীতি গ্রহণ করছে। বিরাট অর্থনীতি চীনকে যে পেশিশক্তি এনে দিয়েছে তার কিছু লক্ষণ আপনা থেকে প্রকাশিত হয়েছে। কোনো দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে যদি চীন আঘাত হানে এর বিরুদ্ধে পুরো বিশ্ববাসীর সক্রিয় হওয়া দরকার। কিন্তু আমেরিকার বর্তমান আগ্রাসী অবস্থানকে কোনোভাবে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষ বলে ধরা যাচ্ছে না। চীনকে ঠেকিয়ে রাখার প্রকাশ্য নীতি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য কোনো নীতি নয়। চীন তার জাতীয় সমৃদ্ধি দিয়ে বিশ্বনেতা হিসেবে যদি আবির্ভূত হয় সেটা তার যোগ্যতা। এর সাথে মানানসইভাবে চলাই উত্তম কাজ। তার ওপর কিছু দোষ চাপিয়ে দিয়ে দাবিয়ে রাখার কৌশল গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।


আরো সংবাদ



premium cement
মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন হাত কাটা বন্দীর নেতানিয়াহুর সমালোচনা ইসরাইলের আলটিমেটাম, যা বলল হামাস রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের বিরুদ্ধে ব্লিংকেনের হুঁশিয়ারি ইতিহাস গড়া জয় পেল পাঞ্জাব

সকল