০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বাণিজ্য ঘাটতি ১ লাখ কোটি টাকা

অর্থনীতির জন্য বড় উদ্বেগ

-

আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে একটা যৌক্তিক ভারসাম্য সুষ্ঠু অর্থনীতির জন্য কাম্য। আমদানির তুলনায় রফতানির পরিমাণ বেশি হবে প্রতিটি দেশই তেমনটি চায়; কিন্তু অনেক দেশের ভাগ্যেই সে চাওয়া পূরণ হয় না। সেসব দেশে আমদানির পরিমাণের তুলনায় রফতানির পরিমাণ কম হয়ে থাকে। এ পরিস্থিতির নাম বাণিজ্য ঘাটতি অবস্থা। বাংলাদেশ বাণিজ্য ঘাটতিরই একটি দেশ। আমাদের আমদানি ব্যয়ের তুলনায় বাণিজ্য আয় কম। শুধু আয় কম বললে সবটুকু বলা হয় না। বরং বলা দরকার, আমাদের রফতানি আয়ের তুলনায় আমদানি ব্যয় অস্বাভাবিক মাত্রায় বেশি, যা কখনোই কাম্য হতে পারে না।
জানা গেছে, বহির্বিশ্বের সাথে বাংলাদেশ এখন বড় ধরনের ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে। বহির্বিশ্বের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি এরই মধ্যে এক লাখ কোটি টাকার অঙ্ক ছাড়িয়ে গেছে। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) দেশের বাণিজ্য ঘাটতি এক হাজার ১৯২ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশী টাকার অঙ্কে এক লাখ কোটি টাকা। অর্থনীতির জন্য এ অবস্থা উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ করা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ৯ মাস শেষে ইপিজেডসহ রফতানি খাতে বাংলাদেশ আয় করছে তিন হাজার ৪৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় করেছে চার হাজার ২৩৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার। সে হিসাব অনুযায়ী মার্চ মাস শেষে দেশে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৯২ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যা টাকার অঙ্কে এক লাখ ৭৯১ হাজার কোটি টাকা (বিনিময় হার ৮৪ টাকা ৫০ পয়সা ধরে) ছাড়িয়েছে। এ দিকে আলোচিত সময়ে সেবা খাতে বেতনভাতা বাবদ বিদেশীদের পরিশোধ করা হয়েছে ৭৭২ কোটি ডলার। এর বিপরীতে বাংলাদেশ এ খাতে আয় করেছে ৫০৪ কোটি ডলার। এ হিসাবে সেবা খাতে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৬৮ কোটি ডলার, যা গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২৫৮ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ১৮৬ কোটি ডলার, যার প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ১০ শতাংশ। পণ্য ও সেবা বাণিজ্যে যে পরিমাণ ঘাটতি হয়েছে, তা প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের তুলনায় অনেক বেশি। এ কারণে বহির্বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের চলতি হিসাব ঋণাত্মক (-) অবস্থায় রয়েছে।
আমরা মনে করি, বর্তমানে বাণিজ্য ঘাটতি অনেকটা অস্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে রফতানি আয় বাড়াতে হবে। সেই সাথে কমিয়ে আনতে হবে অপ্রয়োজনীয় আমদানির পরিমাণ। মনে রাখতে হবে, এ ধরনের ঋণাত্মক অবস্থা অর্থনীতির জন্য উদ্বেগজনক, যা অব্যাহতভাবে চলতে দেয়া যায় না।


আরো সংবাদ



premium cement
দুদকের প্রথম নারী মহাপরিচালক শিরীন দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদন, তারপরও লোডশেডিং বড় চমক ছাড়াই প্রস্তুত বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল দোয়ারাবাজারে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যা, আটক ১ বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের দাবি সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির ২ প্রার্থী নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ১৮৫ দিন : শিক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা আবাহনীর ২২তম শিরোপা

সকল