৬৮০ কোটি টাকার তিন ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধিসহ তিনটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৬৭৯ কোটি ৮৭ লাখ ৬৭ হাজার ১৫১ টাকা।

বুধবার (২৭মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো: মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, আশুলিয়া, মাধবদী ও চান্দিনায় ১০ (+১০%) মেগাওয়াট গ্যাস ভিত্তিক ৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং ট্যারিফ প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পন্সর কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিসিডেটের সাথে সরকারের ১৫ বছর চুক্তির মেয়াদ ২০১৮ সালের ৩১ আগস্ট তারিখ উত্তীর্ণ হয়।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মেয়াদ আরো ৫ বছর বৃদ্ধি করা হয়, যা ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট তারিখ উত্তীর্ণ হয়। তবে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে ২য় বার আরো ৫ বছর মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো) সুপারিশ করে। বাপবিবো এবং নেগোসিয়েশন কমিটি কর্তৃক স্পন্সর কোম্পানির সাথে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত চুক্তির শর্ত চূড়ান্ত করে ৩টি গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর থেকে ৫ বছর বৃদ্ধির জন্য সামিট পাওয়ার লিমিডেটের সাথে ট্যারিফ কিলোওয়াট ঘণ্টা ৫.৮২ টাকা হিসেবে নো ইলেক্ট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ভিত্তিতে সংশোধিত চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বর্ধিত মেয়াদে (৫ বছরে) স্পন্সর কোম্পানিকে ৫৪৬ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে জানিয়ে মো: মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, বর্ণিত প্রস্তাবে ট্যারিফ আগের তুলনায় হ্রাস পাওয়ায় বর্ধিত মেয়াদে প্রায় ৬.৮১ কোটি টাকা ব্যয় সাশ্রয় হবে।

বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্পের আওতায় সিপিসি ঠিকাদারের সাথে ৫ম সাপ্লিমেন্ট চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের আওতায় মহেশখালীতে ১টি স্বয়ংসম্পূর্ণ ট্যাংক ফার্ম ও গভীর সমুদ্রে ১টি সিঙ্গেল পয়েন্ট মুংরিং এবং ১১০ কিলোমিটার দু'টি ডাবল পাইপলাইন স্থাপনের জন্য চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ব্যুরো (সিপিপিবি) -এর সাথে ৪টি সাপ্লিমেন্ট এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়।

পরবর্তীতে সিপিপি কর্তৃক দাখিলকৃত প্রতিবেদন ও পিপিসি’র সুপারিশ মোতাবেক টেস্টিং ও কমিশনিং কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে যথাযথ শক্তির টাগবোট সংগ্রহ, পাইলটেজ এবং আনুষঙ্গিক সার্ভিস অন্তর্ভূক্তির জন্য চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কো. লি. এর সাথে ৫ম সাপ্লিমেন্টারি অ্যাগ্রিমেন্ট বাবদ ৫.৭০ মিলিয়ন ইউএস ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশী মুদ্রায় ৬২ কোটি ৮৪ লাখ ২৫ হাজার টাকায় চুক্তির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।

এছাড়া ‘খুলনা থেকে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডব্লিউডি-১ এর পূর্ত কাজের ৩য় ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। এ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডব্লিউডি-১১ এর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে ভারতের মেসার্স ইরকন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ২৭৮ কোটি ৬৫ লাখ ৫২ হাজার ৯০৭ টাকা। চুক্তি অনুসারে কাজ চলমান অবস্থায় কিছু আইটেম হ্রাস বা বৃদ্ধি হওয়ায় ৩য় ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৭০ কোটি ২৩ লাখ ৯২ হাজার ১৫১ টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়েছে।