০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সার নিয়ে প্যানিক সৃষ্টি করা হচ্ছে : : খাদ্যমন্ত্রী

- ছবি - সংগৃহীত

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সার নিয়ে প্যানিক সৃষ্টি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, কৃষকরা সময় মতো সার পাচ্ছেন এবং পর্যাপ্ত পরিমান সার মজুত আছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় নওগাঁর মহাদেবপুরে প্রস্তাবিত রাইস সাইলো নির্মাণের মাটি ভরাট কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সারের সঙ্কট আছে বলে মিথ্যা তথ্য রটিয়ে একটি গোষ্ঠী আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছে। তারা ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে চায়। সার নিয়ে অহেতুক অস্থিরতা তৈরি করলে কেউ রেহাই পাবে না।

তিনি বলেন, গত বছর থেকে এবার সারের বরাদ্দ এক টনও কমেনি। কিন্তু চাষের জমির পরিমাণ কমেছে। এ অবস্থায় সার সঙ্কট হওয়ার সুযোগ নেই। সার নিয়ে প্যানিক সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ কারণে যাদের এক বস্তা সার প্রয়োজন তারা দুই বস্তা সার সংগ্রহের চেষ্টা করছে।

তিনি আরো বলেন, যাদের সার প্রয়োজন নেই, তারাও ডিলারের কাছে গিয়ে দীর্ঘ লাইন ধরে একটা ঝামেলা তৈরি করে অঘটন ঘটনার চেষ্টা করছে। নওগাঁয় সারের সঙ্কট যাতে না হয়, সে জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ নেয়া হয়েছে। কোথাও সারের কোনো সঙ্কট নেই।

মন্ত্রী বলেন, সার, ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সাথে কেউ অনিয়ম-দুর্নীতি করলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। প্রয়োজনে জেল-জরিমানা, ডিলারশিপ বাতিলসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নওগাঁয় প্রস্তাবিত অত্যাধুনিক রাইস সাইলো সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নওগাঁয় ১৫ একর জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে প্রায় ৪৮ হাজার টন ধারণক্ষমতার একটি অত্যাধুনিক সাইলো। ইতোমধ্যে এখানে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে।

সাইলোর নির্মাণ সম্পন্ন হলে নিরাপদ মজুতের পাশাপাশি এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে। অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সাইলোতে দুই বছর পর্যন্ত চাল মজুত রাখলেও বিবর্ণ ও গুণগত মান নষ্ট হবে না বলেও জানান তিনি।

এ সময় রাজশাহীর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, খাদ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোঃ সহিদুজ্জামান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর কবির, মহাদেবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আহসান হাবিব ভোদনসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement