২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৩০ বছর পর জানা গেল ডিজিএমের মুক্তিযোদ্ধা সনদ জাল

-

মুক্তিযোদ্ধার জাল সনদ দেখিয়ে সরকারি ব্যাংকে চাকরি পান প্রদীপ কুমার শর্মা। ২৯ বছরে সোনালী ব্যাংকে চাকরিতে ঢোকেন। ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরি করেন রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাংকটিতে। সিনিয়র অফিসার পদে যোগদান করে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) হন। এরপর অবসরে যান। দীর্ঘ ৩০ বছর চাকরি শেষে অবসর নেয়ার পর এখন প্রমাণ পাওয়া গেল তার মুক্তিযোদ্ধার সনদ জাল ছিল।

ফলে চাকরির সময়ে বেতন-ভাতা ও ঋণ বাবদ অবৈধভাবে প্রায় দেড় কোটি টাকা গ্রহণ করায় সোনালী ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম প্রদীপ কুমার শর্মা এখন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চার্জশিটভুক্ত আসামি।

মঙ্গলবার মহানগর দায়রা জজ আদালতে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

প্রদীপ কুমারের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭৭-ক এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: আরিফ সাদেক। তিনি আরো জানান, ২০১৯ সালের ২৫ জুলাই দুদকের উপপরিচালক মো: হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আসামি প্রদীপ কুমার শর্মা সোনালী ব্যাংকে ১৯৮৩ সালে সিনিয়র অফিসার পদে আবেদন করেন। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় করা আবেদনে নিজের বয়স ২৯ বছর ৪ মাস উল্লেখ করেন। তিনি ১৯৮৪ সালের ১০ জুলাই সিনিয়র অফিসার পদে যোগদান করে ২০১৪ সালের ৩০ জুন ডিজিএম হয়ে ৬০ বছর বয়সে অবসরে যান। ৩০ বছরের চাকরি জীবনে সোনালী ব্যাংক থেকে বেতন বাবদ ৬৯ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৪ টাকা, উৎসব বোনাস বাবদ ১৬ লাখ ১২ হাজার ৫২৩ টাকা ও গৃহ নির্মাণ ঋণ, গাড়ি ও কম্পিউটার ঋণ বাবদ ৪৬ লাখ ১২ হাজার ৮৬৬ টাকা উত্তোলন করেন প্রদীপ কুমার।

সব মিলিয়ে তিনি এক কোটি ৩১ লাখ ৫৭ হাজার ১৮৩ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনে।

এ দিকে মুক্তিযোদ্ধা সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ২৩তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রদীপ কুমার শর্মাকে সরকারি বেতন-ভাতাসহ ভোগ করা অর্থ ফেরত দিতে হবে। দুদকের তদন্তেও প্রদীপ কুমার শর্মার মুক্তিযোদ্ধা সনদ জাল প্রমাণিত হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement