২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মসজিদের মাইকে ঘরে নামাজ পড়ার আহবান

মসজিদের মাইকে ঘরে নামাজ পড়ার আহবান - সংগৃহীত

ঘরে নামাজ পড়ার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা জারির পর সোমবার আসরের নামাজের সময় থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার মসজিদের মাইক থেকে মুসল্লিদের মসজিদে না গিয়ে ঘরে নামাজ পড়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

মুসল্লিদের মসজিদে যেতে বারণ করা হলেও যথানিয়মে আজান অব্যাহত থাকে এবং সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ইমাম মোয়াজ্জিন ও খাদেমদের অংশগ্রহণে জামাত চালূ রয়েছে।
করোনার বিস্তার রোধে জনসমাগম এড়াতে সোমাবার দুপুরে ধর্ম মন্ত্রনালয় এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে মুসল্লিদের মসজিদ না গিয়ে ঘরে নামাজ পড়ার নির্দেশ দেয়। তবে ইমাম মুয়াজ্জিনদের অংশগ্রহনে মসজিদে আজান ও জামাত অব্যাহত থাকবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়।

নির্দেশনা জারির পর অনেক আবাসিক এলাকায় মাইাকিংও করা হয়। আবার নামাজের সময় মসজিদের মাইক থেকেই ঘরে বসে নামাজ আদায় করার আহবান জানানো হয়। অনেকে বাসার বারান্দায় দাঁড়িয়ে আহবান শুনেন।
এদিকে ঘরে নামাজ আদায়ের সিদ্ধান্তের সঙ্গে দেশের আলেম সমাজসহ মুসল্লিদেরও একাত্মতা প্রকাশ করতে দেখা গেছে। অনেকে এই সিদ্ধান্ত আরো আগেই নেয়া উচিত ছিল এমন মন্তব্য করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
শীর্ষস্থানীয় আলেম জানান, তারা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত দিলেও সরকার প্রয়োজনে যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে এমন মতও দিয়েছিলেন। মসজিদে জামাত সীমিত রাখার ব্যাখ্যায় অনেকে ইমাম মুয়াজ্জিন ও স্বল্পসংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণে জামাত চালু রাখার কথা বলেছিলেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বৈঠকে অংশ নেয়া অপর আলেম এই প্রতিবেদককে বলেন, দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে চলা ইসলাম সমর্থন করে। তিনি বলেন, মসজিদে জামাতে নামাজ পড়া সুন্নাতে মোয়াক্কাদা যা ওয়াজিবের কাছাকাছি। আর জামাত জারি রাখাটা ফরজে কেফায়া। এখন যেহেতু জামাত জারি থাকছে এতে কারো কোন গুনাহ হবে না।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের আশংকায় সৌদি আরবে মসজিদুল হারামাইনসহ সকল মসজিদে বন্ধ করে দেয়া হয়। কুয়েত, মালয়েশিয়া, তুরস্কসহ বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশে মুসল্লিদের ঘরে নামাজ পড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement