২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
করোনা শনাক্তে সম্ভাবনার আলো

এপ্রিলে এক লাখ কিট উৎপাদন করবে গণস্বাস্থ্য

ডা. জাফরুল্লাহ - সংগৃহীত

আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে এক লাখ করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। বাংলাদেশের জন্য প্রথম পর্যায়ে এপ্রিল মাসের মধ্যেই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এক লাখ করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্তকরণ কিট উৎপাদন করবে বলে জানিয়েছন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। যদিও দেশে এখনো পর্যাপ্ত কিটের অভাব রয়েছে। এরই মধ্যে চীন থেকে সীমিত পরিসরে আসছে কিট। তবে গণস্বাস্থ্য পুরোপুরি উৎপাদনে গেলে সঙ্কট অনেকটাই কেটে যাবে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল সহজ ও স্বল্পমূল্যে করোনাভাইরাস পরীক্ষার পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। সে সুখবরটি ইতোমধ্যে সরকারসহ সবাইকেই জানিয়েছেন। কিট তৈরির অনুমোদনও সরকার দিয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানান ডা. জাফরুল্লাহ। কিট উৎপাদনের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কিট উৎপাদন একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই কিট উৎপাদনে দেশি ও বিদেশি কাঁচামাল প্রয়োজন হয়। আমাদের বিদেশের প্রায় সব সামগ্রীও চলে এসেছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে সব কিছু ব্রেকডাউন করে দেয়ার ফলে আমাদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে দেশের কাঁচামাল সংগ্রহ করতে। তারপরও আমরা আশা করছি আগামী এপ্রিল মাসের ১০ তারিখের মধ্যে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণের এক হাজার কিট উৎপাদন করে পরীক্ষার জন্য সরকার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে জমা দিতে পারবো। এরপর তারা এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট উৎপাদন খুব কঠিন কিছু নয়। আমাদের এই পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ এবং সুলভ মূল্যে পাওয়া যাবে। এই পদ্ধতির জন্য বিশেষ কোনো দামি ল্যাবরেটরির প্রয়োজন নেই। যেকোনো হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডাক্তারের চেম্বার এই পদ্ধতি ব্যবহার করে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে পারবে। আমাদের শনাক্তকরণ পদ্ধতি অত্যন্ত ভালো। ফলে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশ আমাদের এই কিট নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

ডা. জাফরুল্লাহ আরো বলেন, আমাদের সমস্যা হলো বেশি পরিমাণে এগুলো উৎপাদন করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের কোনো ধরনের আর্থিক সহযোগিতা করা হয়নি। সরকার যদি কোনো ব্যাংকের মাধ্যমেও আমাদের টাকা ঋণ দিলে আমরা পরবর্তীকালে নিজেদের ফান্ড থেকেই সেই ঋণ শোধ করে দিতে পারবো বলে আশা করছি।


আরো সংবাদ



premium cement