০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


চীনাদের বাংলাদেশে সুযোগ অন্বেষণ এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান

চীনাদের বাংলাদেশে সুযোগ অন্বেষণ এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান - ছবি : নয়া দিগন্ত

চীনে বেইজিংস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ড. এম নজরুল ইসলাম বাংলাদেশে বেশি করে সুযোগ অন্বেষণ এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য চীনা নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। করোনাভাইরাস মহামারী পরবর্তী চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি যাত্রীবাহী ফ্লাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বক্তব্যে তিনি বলেন, সুযোগগুলো কাজে লাগাতে এবং সুন্দর বাংলাদেশ অন্বেষণ করতে, উদীয়মান বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আমি আমাদের চীনা বন্ধুদের বাংলাদেশ সফরে স্বাগত জানাই।

বৃহস্পতিবার বিকেলে গুয়াংজু বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উদ্যেগে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি যাত্রীবাহী ফ্লাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেইজিংস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ড. এম নজরুল ইসলাম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো: জাহিদ হোসেন একটি অভিনন্দন ভিডিও বার্তা প্রদান করেন। গুয়াংজু বাইয়ুন বিমানবন্দরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ছি ইয়াওমিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য প্রদান করেন।

দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি এবং কার্যকর সহযোগিতা উল্লেখ করে বাংলাদেশী এই কূটনীতিক বলেন, ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের পর থেকে এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ইয়ের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের সর্বশেষ ঘোষণাগুলো জনগণ, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি চমৎকার পরিবেশ তৈরি করেছে।

ড. নজরুল বলেন, বাংলাদেশ এখন এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও ব্যবসাকে আকৃষ্ট করার জন্য একটি সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি ও সুযোগ-সুবিধা তৈরি করেছে।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিহাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঐতিহাসিক শহর গুয়াংজু, যা আগে ক্যান্টন নামে পরিচিত ছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৫২ এবং ১৯৫৭ সালে চীনে ঐতিহাসিক সফরের সময় প্রবেশপথ ছিল। বঙ্গবন্ধুর লেখা সফর ও ভ্রমণকাহিনী ‘আমার দেখা নয়াচীন’ আধুনিক দিনে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করেছে।

গুয়াংজু এবং কুনমিং উভয় রুটে ফ্লাইটের অনুমতি পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস চীনা পক্ষের সাথে নিরলসভাবে কাজ করেছিল। মহামারী পরিস্থিতির কারণে, এটি একটি জটিল কাজ ছিল, তিনি যোগ করেছেন।

চীনের বাজারে বাংলাদেশী রফতানি পণ্যের অতিরিক্ত এক শতাংশ শুল্কমুক্ত প্রবেশের জন্য প্রাসঙ্গিক গেজেট জারি এবং বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের তাদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য চীন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

গুয়াংজু বাইয়ুন বিমানবন্দরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চীনে বাংলাদেশ দূতাবাস, বাইয়ুন বিমানবন্দরের বিভিন্ন দফতর এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং চীনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা।

উল্লেখ্য, ১৮ আগস্ট বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ১৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-৩৬৬ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিট পর গুয়াংজু বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্বিঘ্নে অবতরণ করে। একই দিনে ফিরতি ফ্লাইট বিজি-৩৬৬ গুয়াংজু বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চীনা স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৪০ মিনিটে উড্ডয়ন করে। প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর চীন ও বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মধ্যে এটিই প্রথম সরাসরি যাত্রীবাহী ফ্লাইট।


আরো সংবাদ



premium cement