০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


গণহত্যাকারীদের বিচার না করা পাকিস্তানের জন্যও লজ্জাজনক : মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন - ফাইল ছবি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আশা প্রকাশ করেছেন যে পাকিস্তানের নতুন প্রজন্ম ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যার বিষয়টি বুঝতে পারবে এবং অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করবে।

তিনি বলেন, পাকিস্তানি জান্তা যারা গণহত্যা করেছিল তারা শাস্তি পায়নি। এটা খুবই দুঃখ এবং লজ্জাজনক। এটা পাকিস্তানের জন্যও লজ্জার।

শুক্রবার রাজধানীতে একটি সেমিনারে যোগ দেয়ার পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এর আগে তিনি আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত `১৯৭১ সালে বাংলাদেশ গণহত্যা' শীর্ষক সেমিনারে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিষয়টি এখন আলোচিত এবং সরকার এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্মরণ করা শুধুমাত্র ১৯৭১ সালের মহান ও বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনই নয় বরং সারা বিশ্বে ঘটে যাওয়া গণহত্যার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে।

‘জেনোসাইড ওয়াচ’ বাংলাদেশ গণহত্যার ৫০তম বার্ষিকী স্মরণে ঘোষণাপত্র জারি করেছে এবং ‘লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশন’ কয়েক মাস আগে ‘বাংলাদেশ গণহত্যার বিষয়ে বিবৃতি’ জারি করেছে।

মোমেন ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে দেয়া ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘আমি জানি যে আমাদের শহীদদের আত্মা আমাদের সাথে এই অঙ্গীকারে যোগ দিয়েছে। বাঙালি জাতি এমন একটি বিশ্ব গঠনে সম্পূর্ণরূপে আত্মনিয়োগ করবে, যেখানে শান্তি ও ন্যায়বিচারের জন্য প্রতিটি নারী-পুরুষের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হবে।’

এ সময় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। যার অভূতপূর্ব ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব এবং দীর্ঘ সংগ্রাম আমাদের দীর্ঘ দিনের লালিত স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা করেছিল।

বাংলাদেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদের স্মৃতির প্রতিও তারা শ্রদ্ধা জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এছাড়াও জেনোসাইড ওয়াচের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক গ্রেগরি স্ট্যান্টন, প্রখ্যাত গণহত্যা বিশেষজ্ঞ ডক্টর হেলেন জার্ভিস এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বক্তব্য রাখেন।

মোমেন বলেন, বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল নয় মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের সূচনার দিন হিসেবে ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্মরণ করার প্রস্তাবন সংসদে গৃহীত হয়েছে।

তিনি বলেন, গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার প্রচেষ্টা চলছে।
সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement