১৬ মে ২০২৪, ০২ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫
`


ব ই আ লো চ না

চলনবিল অঞ্চলের ইতিহাস একটি ঐতিহাসিক দলিল

-

আমরা সবাই জানি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিলের নাম হচ্ছে চলনবিল। বই-পুস্তকে পড়েছি চলনবিলের কথা। ইতঃপূর্বে মাত্র দুই-তিন শ’ পৃষ্ঠা লেখা পড়ে চলনবিলের ইতিহাস কতটুকু জেনেছি, তা তখনই বুঝলাম, যখন চলনবিল অঞ্চলের ইতিহাস দুই খণ্ড (১১৮০ পৃ.) পড়লাম।
চলনবিল অঞ্চলের ইতিহাস (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড) যৌথভাবে লিখেছেন ড. আশরাফ পিন্টু ও মিজান খন্দকার। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ চলনবিল সম্পর্কে অনেক কিছুই অজানা ছিল। এই দুই খণ্ড বই পড়ে চলনবিল অঞ্চলের খুঁটি-নাটি অনেক তথ্যই জেনেছি।
চলনবিল অঞ্চলের ইতিহাস বইটির প্রথম খণ্ড পড়ে জেনেছি চলনবিল অঞ্চলের ইতিহাস-ঐত্যিহ্য, সমাজ-সংস্কৃতি, অবস্থান, আয়তন, প্রশাসনিক কাঠামো, চলনবিল অঞ্চলের শিল্প, নদ-নদী, খাল-বিল, পত্র-পত্রিকা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, কবি-সাহিত্যিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, সংবাদকর্মী, লোকসংস্কৃতি ও নানাবিধ সামাজিক উৎসব সম্পর্কে।
চলনবিল অঞ্চলের ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ডে রয়েছে চলনবিল অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা ও ইতিহাস, চলনবিল অঞ্চলের বিশিষ্টজনের জীবনী।
বাংলাদেশের একটি বিলকে নিয়ে (দুই খণ্ডে মোট ১১৮০ পৃষ্ঠা) গবেষণাধর্মী এমন বই একমাত্র ড. আশরাফ পিন্টুর কাছেই লেখা সম্ভব। কেননা তিনি অনেক স্থানীয় ইতিহাসের রচয়িতা। পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা নিয়ে তার ইতিহাসের বেশ কিছু বই রয়েছে। একটি বিল সম্পর্কে এত সুন্দর করে, উপমা দিয়ে, নিখুঁতভাবে উপস্থাপন করেছেন খ্যাতিমান গবেষক।
বইটি পড়ে আমার হৃদয়-মন কানায় কানায় ভরে গেছে মিষ্টি আনন্দে। একটি বিলকে কেন্দ্র করে এত সুন্দর একটি বই হতে পারে তা না পড়লে জানা কঠিন। আমি বইটি পড়ে এতটুকু বলতে বাধ্য হলাম যে কষ্ট করে বইটি লিখেছেন। এই কষ্টের দাম শোধ করার সাধ্য আমাদের নেই। গবেষক দুজন বাংলার রূপ চলনবিলের রূপের মধে খুঁজে পেয়েছেন। আমি মনে করি বাংলার রূপক জানতে হলে, রূপসী বাংলাকে জানতে হলে এই দুই খণ্ড বই সবারই একবার করে পড়া উচিত। আমি নিশ্চিত বইটি সবার কাছে ভালো লাগবে এবং পাঠকপ্রিয় হবে।
বইটি প্রকাশিত হয়েছে বইপত্র গতিধারা প্রকাশনী ৩৮/২ক বাংলাবজার, ঢাকা-১১০০) থেকে।


আরো সংবাদ



premium cement