২০ মে ২০২৪, ০৬ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫
`


গদ্যের সৌন্দর্য

-

গদ্যের সৌন্দর্য নিয়ে কোনো কাজ কি আমি পড়েছি? মনে পড়ছে না। আমরা কি এ নিয়ে ভেবেছি? এ প্রশ্ন আমরা করতেই পারি, আসলে গদ্যের সৌন্দর্য নিয়ে আমাদের চেতনায় সত্যই কোনো ভাবনা আছে কি না। বিষয়টি অবশ্য ভাবনার। আমরা কবিতার সৌন্দর্য খুঁজতে যতোটা তৎপর, তার নানা কৃতি নিয়ে গর্বিত এবং উৎসাহিত, গদ্যের কারুকাজ নিয়ে তেমনটা নই। গদ্যের রূপ নিয়ে আমাদের ভাবনা যে চলমান জীবনের মতোই প্রবহমানতার স্রোতের অংশ, সেটি আমাদের নতুন করে চিনতে হবে। কারণ আমাদের চেতনাকে ওই চিন্তার ফোকড়ে ঢুকিয়ে নতুন করে নতুনভাবে ভাবতে হবে।
ভারতীয় বা ইউরোপীয় সৌন্দর্যবাদীরা যে চোখেই দেখেন না কেন, তাদের চিন্তায় যে কবিতাই ছিলো প্রথম তা নিশ্চিত করেই বলা যেতে পারে। গদ্য তাদের সামনে আসে অনেক পরে, যখন আসে তখনো তার সৌন্দর্য নিয়ে তারা ভাবেননি। এটাকে আমি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বলে মনে করি। কারণ গদ্য তখনো শোভাবর্ধনকারী লেখা হিসেবে চিহ্নিত হয়নি বা একে নতুন প্রেরণার উৎস ভাবেননি কেউ। যারা শিল্পসাহিত্যের বিচার-বিশ্লেষক তারা গদ্যের সৌন্দর্য খুঁজে দেখার প্রেরণা পাননি। কিন্তু এখন সেই কাল যেমন গত হয়েছে, তেমনি সেই উৎসের মানুষেরাও গত হয়েছেন। এখনকার সৌন্দর্যবাদীরা একই সঙ্গে দৈশিক ও বৈশ্বিক শিল্পসাহিত্যের বাজারে নিত্যই ঢুঁ মারেন। সেটি বই সংগ্রহ করে যেমন তেমনি অনলাইনেও তারা তৎপর। নিজেদের ভালো লাগা গদ্যের বিষয় নিয়ে তারা কাজ করেন। চিহ্নিত করেন সেই গদ্যের প্রবহমানতা এবং সৌন্দর্যের উপকরণ-উপাদান।
কী কী উপকরণ-উপাদান গদ্যের সৌন্দর্য বাড়ায় তাও তারা চিহ্নিত করেন। কিন্তু আমরা তার তেমন কিছু জানি না। আমি বর্তমান জটিল, জঙ্গম পৃথিবীর কিছুই জানি না, তবে আঁচ করতে পারি। কেন আঁচ করতে পারি?
২.
পারি, কারণ এই পৃথিবীরই বাসিন্দা আমি। কিংবা পারি না, কারণ তার জটিলতার বহু স্রোতাক্রান্ত গতিপথ সম্পর্কের তলদেশ অজানা রহস্যে বোনা। সেই তল পাওয়া কঠিন, দুরূহ। আবার এর গভীরতর বোধ আমরা অন্তরে সহজে আয়ত্ত করতে পারি অনুভব, উপলব্ধির স্বাভাবিক চেতনার দ্বারা। এর ভেতর মহলে কী কী আছে তা জানি না। জানার জন্য সময় সুযোগ আর অভিনিবেশ দরকার। সেই সময় আমাদের নেই। অভিনিবেশের প্রধানতম অন্তরায় জঙ্গম পৃথিবীতে খাদ্যান্বেষণের জন্য মানুষের ইঁদুর দৌড়। সেই দৌড়ে আমাদের নাভিশ্বাস ওঠে প্রতিদিন। তারপর বিশ্রাম, ঘুম, তারপর আবার খাদ্যের সন্ধানে ইঁদুর দৌড়। এর ভেতর থেকে বেরিয়ে মনের খোরাক জোগাড় করা অনেকটাই কষ্টসাধ্য। কখনো কখনো তা দুঃসাধ্যও। তারপরও মানুষ থেমে থাকে না। কারণ তার মধ্যে নিহিত আছে অন্বেষণের অসীম স্পৃহা। সেই স্পৃহাই তাকে নিয়ে চলে অজানা গন্তব্যের পথে, যা অজানা, অচেনা, দুর্গম।
সেই অচেনাকে চেনার পথ বাৎলে দেন সৌন্দর্য বিশারদরা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সৌন্দর্য নামের এই অদৃশ্যমান একটি উপাদানের রূপ কী হতে পারে, সেটিই তো অন্বেষণের মূল লক্ষ্য। আমরা খুঁজে বেড়াই নিজেকেই। উল্টে-পাল্টে দেখি তার বহিরাবরণ, অন্তরও চেখে দেখার জন্য তাঁর কিছু সৃষ্টি নমুনা পড়ি বা দেখি। দেখে যদি আনন্দ জাগে মনে, পড়ে যদি আনন্দ জাগে কিংবা ধরা যাক, জাগল বেদনা, জারিত হলো দুঃখের রস, তখন আমরা ধরে নিই ওই সৃষ্টি মানুষকে জাগাতে পারে। তার সত্তাকে নাড়া দিতে পারে, তার চেতনায় ঘা দিতে পারে, তাকে জাগিয়ে তুলতে পারে ভিন্ন এক পরিপ্রেক্ষিতের ভূমিতে।
ফুলের আকার আছে, তার গন্ধ সু হতে পারে, আবার উৎকটও হতে পারে। কিন্তু গন্ধের বা সুবাসের কোনো আকারসর্বস্বতা নেই। নেই বলে যে তা একেবারেই অস্তিত্বহীন, তা তো নয়। গন্ধটা সুগন্ধি হোক বা না হোক, তার অস্তিত্ব আছে। কিন্তু যার কোনো গন্ধ নেই, তাকে কি করে আনন্দময় ভাববো আমরা?
অস্তিত্ব আছে, ব্যাসও মাপা যেতে পারে যদি কোনো আধারে ঢোকানো হয়, ওজনও মাপা যায়, কিন্তু গন্ধ ও বর্ণ নেই। সেই প্রায় অস্তিত্বহীন অস্তিত্বের উপাদান হচ্ছে বাতাস। অপরিমেয় বাতাস আমাদের শ্বাসের উপাদান, আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার অক্সিজেন, তার শোভা আমরা দেখি না। মনেও করি না যে তার আলাদা অস্তিত্ব আছে। বাতাস ও অক্সিজেন না থাকলে যে আমরা মৃত বস্তু হয়েই থাকতাম, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এই অবারিত বাতাসের উৎস কোথায়? কোনো বিজ্ঞানী কি গবেষণা করে বের করতে পেরেছেন? ধরা যাক, ওই আকাশের কথা, যাকে দেখি আমরা খালি চোখে, অনুভব করি তার সুনীল সুগোল রূপ, কিন্তু তাকে স্পর্শ করতে পারি না। পারি না, কারণ সে তো শূন্য কেবল। ওই শূন্যতার কোনো শুরু-শেষ নেই। ওই অনিঃশেষ আকাশের খুঁটি খোঁজা জরুরি। কিভাবে সে এমন ঢঙে দাঁড়িয়ে আছে? কী করে দাঁড়িয়ে আছে? বিস্ময়কর এই ভাবনাগুলোই আমাকে সৌন্দর্য আহরণে উৎসাহ জুগিয়ে চলেছে।
সেই উৎসাহের সাহসে ভর করে আমি রূপোশ্বৈর্যের সন্ধানে বেরিয়েছি।
৩.
না, আমি আকাশের বর্ণনায় যাবো না। যারা আকাশের বর্ণনা করেছেন তাদের কবিতায় বা গদ্যে, গল্পে, উপন্যাসে এবং প্রবন্ধ-নিবন্ধে... সেখানেই আমরা পেয়ে যেতে পারি তাদের উপলব্ধির লেখ্যরূপ। শুধু বিস্ময়কর আকাশই নয়, আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের বাতাসই নয়, এই জগত সংসারের যাবতীয় উপাদান-উপকরণ নিয়েই আমরা কথা বলতে পারি, বলা উচিত।
এই ঔচিত্যবোধ ভাষার গদ্য সেক্টরে কেমন, তাও পরখ করা যেতে পারে। ঔচিত্যের সঙ্গে সামাজিক যুক্তির এক অদৃশ্য-প্রায় বন্ধন আছে। সংস্কৃতি তার শিক্ষক, রূপকার। সংস্কৃতি আমাদের শেখায় তার পারিপার্শ্বিক সমাজ-সংসার আর চিন্তাশীলতার বৌদ্ধিক প্যাটার্ন। সমাজের বাসিন্দারা সেই যুক্তিই মেনে নেয়, কেন না, সেখানে তার/তাদের উপকার/কল্যাণ নিহিত থাকতে দেখে, তাদের চেতনায় তা গ্রাহ্য। কবিতার চেয়ে গদ্যে যুক্তি অনেক কার্যকর বলেই মানি। বিশেষ করে প্রবন্ধের গদ্যে যুক্তি অনিবার্য। কবিতা যুক্তি মানে না। সে যুক্তির বন্ধনমুক্ত হয়ে দেখতে চায় সেই নিরালোকে কিসের বাহানা খেলা করে। কিংবা সেখানে অধিবাস্তব/পরাবাস্তব পৃথিবীটা কেমন বা কেমন হতে পারে। সেখানে যেতে তার মন আর মানসচক্ষুই যথেষ্ট।
গল্প-উপন্যাসের গদ্যে যুক্তি অবশ্যই অনিবার্য, তবে চরিত্রের মানস বর্ণনায় তার রূপ কবিতার মতোই কোমল হতে পারে, জটিলও হতে পারে, রহস্যে ভরপুরও হতে পারে তার বর্ণনা। যাকে বলা যেতে পারে, কোমলে-কঠিনের দ্বৈরথের ভালোবাসা। কবিতার কোমলতার পেছনে কি এসব থাকে, যা বলেছেন বুদ্ধদেব বসু তার এক প্রবন্ধে?
‘কবিতা লেখা ব্যাপারটা আসলে জড়ের সঙ্গে চৈতন্যের সংগ্রাম, ভাবনার সঙ্গে ভাষার ও ভাষার সঙ্গে ছন্দ, মিল, ধ্বনিমাধুর্যের এক বিরামহীন মল্লযুদ্ধ।’ (প্রবন্ধ সংকলন/ বুদ্ধদেব বসু, ১৯৬৬, পৃ. ১০২, দেজ, কলকাতা)
বুদ্ধদেবের কথায় কবিতার বিষয়ে জানা গেলো। কিন্তু গদ্য সম্পর্কে তিনি কী বলেছেন? বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথের গদ্যশিল্প বিষয়ে?
গদ্যশিল্পে সচেতন পরীক্ষার লিপিকাতেই আরম্ভ। তার মানে, রবীন্দ্রনাথের গদ্য কবিতার ভেতরেই নিহিত ছিলো? বুদ্ধদেব লিখেছেন, ...গদ্য কোনোরকমেই পদ্য নয়, গদ্য-পদ্যের মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থানে পড়েও নেই, যা নির্ভুল গদ্য এবং নির্ভুলভাবে ছন্দস্পন্দিত, এই ধরনের রচনা তাঁর অন্তরজীবনের প্রধান অবদান। (প্র.সং, বু.ব,পৃ.৩৭)
সে-তো বোঝা গেল, এ হচ্ছে কবিতার গদ্য বিষয়ে বুদ্ধদেবের ভাষ্য। কিন্তু রবীদ্রনাথের গল্পে, উপন্যাসে, প্রবন্ধ গদ্যের বিষয়ে বুদ্ধদেবের কী অভিমত?
সবুজ পত্রে’র আগে পর্যন্ত প্রবন্ধে বা কথাসাহিত্যে তাঁর কবিসত্তা সম্পূর্ণ নিষ্কৃতি পায়নি। এখানে বলে রাখা দরকার যে, তার সাহিত্য ও রসতত্ত্বের আলোচনায় আমরা প্রথম থেকেই একটি ভিন্ন সুর লক্ষ করি এখানে তাঁর কবিসত্তার কাজ বেশি, উপমা আরো প্রচুর, মীমাংসা আরো অনিশ্চিত, এবং উপস্থাপনা... সরকারি আদর্শে দেখলে সবচেয়ে কম তৃপ্তিকর। কেকাধ্বনি প্রবন্ধ তো রীতিমতো নন্দনতত্ত্বের অনুশীলন।...পঞ্চভূতে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের সাহায্যে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ উপস্থিত করেছিলেন, তেমনি এখানেও যেন নিজের সঙ্গে তর্ক করতে করতে তার যাত্রা, একটু এগিয়ে, আর-একটু পেছিয়ে, মাঝ মাঝে হোঁচট খেয়ে, কখনো কোনো আকস্মিক ও উজ্জ্বল ভাবনার পশ্চাদ্ধাবন করে, কখনো বা দূর কল্পনার উৎসাহে আলোচ্য বিষয় বিস্মৃত হয়ে-...এমনভাবে লেখেন যেন সমস্ত ব্যাপারটা তাঁর আত্মপরীক্ষা ও স্বগতোক্তি। ( পৃ. ৩৩) মন্তব্য লিখেছেন বুদ্ধদেব, কিন্তু প্রমাণ হিসেবে উদ্ধৃতি দেননি রবীন্দ্রনাথের রচনা থেকে। আমি গদ্যের নমুনা দিতে চাই, যা নিয়ে আলোচনা করেছেন বুদ্ধদেব।
আধ বুড়ো হিন্দুস্থানী...
রোগা লম্বা মানুষ,
পাকা গোঁফ, দাড়ি-কামানো মুখ
শুকিয়ে আসা ফলের মতো।
ছিটের মেরজাই গাঁয়ে, মালকোচা ধুতি,
বাঁ কাঁধে ছাতি, ডান হাতে খাটো লাঠি,
পায়ে নাগরা, চলেছে শহরের দিকে
ভাদ্র মাসের সকালবেলা,
পথিকটাকে দেখা গেল
আমার বিশ্বের শেষ রেখাতে
যেখানে বাস্তুহারা ছায়াছবির চলাচল।
ওকে শুধু জানলুম, একজন লোক।
ওর নাম নেই, সংজ্ঞা নেই, বেদনা নেই,
কিছুতেই নেই কোনো দরকার।
সেও আমায় গেছে দেখে
তার জগতের পোড়ো জমির শেষ সীমানায়
যেখানকার নীলকুয়াশার মাঝে
কারো সঙ্গে সম্বন্ধ নেই কারো,
যেখানে আমি, একজন লোক।
(একজন লোক )
এ-টুকু নিরেট বর্ণনা। মনে হয় সামনে দাঁড় করিয়ে বর্ণনাটি লিখেছেন তিনি। তখন সেই লিপিকা ও পুনশ্চর সময়ে, তিনি গদ্য স্টাইলে কবিতা রচনার জন্য মনস্থির করেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন কথ্য ভাষায় পারিপার্শ্বের বর্ণনা দিলেই তা আধুনিক গদ্য কবিতা হবে। হয়নি যে তা বলি কেমন করে? আজকের অনেক কবিই তো এ-রকম বর্ণনাকেই কবিতা বলছেন। আসলে কবিতার প্রাণটি কোথায়, তার হদিস কি আমরা আসলে জানি? উদ্ধৃত পঙক্তিগুলোর শেষ পাঁচ পঙক্তিকে আমি বলতে চাই সেই অন্বেষণ, যা কবির মনে বাসা বেঁধে থাকে।
সেটি কি আইস্যুলেশন? নাকি এটা সেই সত্তার শেকড় যাকে বলে মানবাত্মার নির্মূলকরণ? সে তো এলিনিয়েশন? ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির বিচ্ছিন্ন বোধসত্তা? যা আধুনিক যান্ত্রিক সমাজসত্তার প্রধান রূপ। পাশের বাড়ির/বাসার বসতিকেও আমরা চিনি না, চিনলেও তাকে জানি না/জানি না মানে তার অন্তরের খবর জানি না। এর জন্যে নির্মূলকরণ ধ্যান ও বিচ্ছিন্ন থাকার চেষ্টাকে যান্ত্রিকতার খোলস চাপানো হয়েছে।
আমার এ-রচনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে গদ্য, যাকে আমরা বলি গদ্য... উপন্যাসের গদ্য, গল্পের গদ্য যেখানে প্রতিটি বাক্যে লুকিয়ে আছে/থাকে নিরেট বর্ণনার ভেতরে তুলনা, সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্যের মিল-অমিলের শ্লেষ আর হীরের কুচির মতো উপমা, চিত্র ও চিত্রকল্পের শোভা। আছে/থাকে রূপকের ইশারা, থাকে অ্যালিগরির ঝংকার। গদ্যের গহনসত্তার খোঁজ করতে গিয়ে কি আমরা এসব কবিতার উপাদান নিয়ে ভাবি? না, ভাবি না। আমি নিজেও এ-নিয়ে ভাবিনি।
বর্ণনাও কবিত্ব গুণে পাঠককে মুগ্ধ করতে পারে, সে আমরা দেখেছি সৃষ্টিশীল কবিতার বর্ণনায়, গদ্যের প্রকরণের প্রণোদনায়, গদ্যশিল্পীর রচনায়। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিভূতি, তারাশঙ্কর, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, মীর মশাররফ হোসেন, জগদীশ গুপ্ত, সতীনাথ ভাদুড়ী, বুদ্ধদেব বসু, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, বিমল কর, সমরেশ বসু, সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ, শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, আল মাহমুদ, আবুল বাশার, শওকত আলী, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, কায়েস আহমেদ, মাহমুদুল হক, সৈয়দ শামসুল হক, হাসনাত আবদুল হাই, হোসেনউদ্দিন হোসেন, আলাউদ্দিন আল আজাদ, শাহেদ আলী, প্রেমেন্দ্র মিত্র, জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত, আবদুল গাফফার চৌধুরী, আবুবকর সিদ্দিক, মহাশ্বেতা দেবী, ঋত্বিক কুমার ঘটক, আমজাদ হোসেন, আবু কায়সার, মাহবুব সাদিক, ফজলুল কাশেম, হুমায়ূন আহমেদ, সাইয়িদ আতীকুল্লাহ, সিরাজুল ইসলাম, কমলকুমার মজুমদার, মতি নন্দী, সুব্রত বড়ুয়া, খায়রুল আলম সবুজ, হাসান আজিজুল হক, রাহাত খান, শওকত ওসমান, রাবেয়া খাতুন, রিজিয়া রহমান, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, মঈনুল আহসান সাবের, বিপ্রদাস বড়ুয়া, ইমদাদুল হক মিলন, বনফুল, বুলবুল চৌধুরী, শাহাদুজ্জামান, সুচরিত চৌধুরী, মুর্শিদ এ এম, রাবেয়া খাতুন, রিজিয়া রহমান, আবসার আমেদ, আবুল ফজল, ইউসুফ শরীফ, সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, আরেফিন বাদল, গৌরকিশোর ঘোষ, জাকির তালুকদার,মশিউল আলম,আহমদ বশীর এবং এ-কালের আধুনিক গদ্যশিল্পীদের রচনায় সেসব অনন্য রূপায়ণ আমরা দেখতে পাবো। যেসব সৃষ্টিশীল গদ্যকারের নাম লিখেছি, এর বাইরেও রয়ে গেল অনেকে, যারা অবশ্যই উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন এবং তাদের রচনায়ও আছে সেসব উপাদান, যা আমার অন্বেষণের লক্ষ্য।


আরো সংবাদ



premium cement