২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যে ক থা হ য় নি ব লা

-

একজন লেখকের দরকার লেখার স্বাধীনতা : মতিন বৈরাগী
কেন লিখতে এলেন?
কেন লিখতে এলাম এ প্রশ্নের উত্তর দেয়া কঠিনই বটে। সম্ভবত অনেকের কাছেও তেমন-ই হবে। তবে সাদামাটাভাবে আমি লেখাকে নিয়েছি মানুষের কাছে কিছু বলতে, বিখ্যাত হওয়ার বাসনা থেকে বা কোনো প্রাপ্তির আকাক্সক্ষায় নয়। আমার স্বপ্ন ছিল এক শুদ্ধ সমাজব্যবস্থা যার আদর্শগত দিকগুলো আমাকে আকৃষ্ট করেছিল। মানুষকে সেই স্বপ্নের কাছে পৌঁছতে হলে দরকার চেতনা জাগৃতির। আমি আমার লেখাকে সেই কাজে যুক্ত রাখতে আজও লিখি। কারণ চেতনা হারানো মানুষেরা চেতনাকে জাগ্রত না করলে একটি সুন্দর শুদ্ধ সমাজ নির্মাণ সম্ভব হবে না।
লেখালেখি না করলে কী করতেন?
লেখালেখি একজন লেখক করে কেবলমাত্র উদ্দেশ্যকে সফল করার জন্য নয়, অনেকটা সংবেদনশীলতার কারণে। আমি কেবল লেখক নই একজন সংবেদনশীল মানুষও।
কবিতায় নিজেকে কেমন অনুভব করেন?
আমি আমার বিশ্বাসকে প্রকাশ করার জন্য লেখালেখি করি, কখনো কবিতা কখনো প্রবন্ধ আর এসবের মধ্য দিয়ে সমাজ ও জীবন বদলানোর চেষ্টাকে লাগাতার কর্মের মতো যুক্ত রাখি।
জীবনের ব্যর্থতার কথা বলুন!
একটি অন্যায্য সমাজে জীবনের সার্থকতার স্থান খুবই সীমিত।
নিজের সম্পর্কে যে অভিযোগ শুনতে ভালো লাগে?
ভালো লিখতে পারি না, লিখিনি।
এখনো অপূর্ণ যে স্বপ্ন?
একটা পরিপূর্ণ শুদ্ধ সমাজ যার মধ্য দিয়ে সব নাগরিক মানবিক বিকাশের সুযোগ পাবে। অপমানিত হবে না মানুষ আর পতিত শক্তিহীন বলে হবে না বঞ্চিত।
লেখক হওয়ার পথে যে প্রতিবন্ধকতা জয় করেছেন?
একজন লেখকের দরকার লেখার স্বাধীনতা। সেই প্রতিবন্ধকতা জয় করতে পারিনি।
পাঠকের ভালোবাসা কেমন পান?
বিশাল জনপ্রিয়তা আমার নেই। কারণ জনপ্রিয়তার জন্য বর্তমান কাঠামোকে ব্যবহার করতে আমার যোগ্যতা শূন্য। তবুও কেউ কেউ ভালো বাসে সেটুকুই পাথেয়।
বারবার কোন বই পড়ার ইচ্ছে তাড়িত করে?
কোনো বই বারবার পড়ার ইচ্ছে হয় না কখনো। তবে একবারের বেশি কোনো কোনো বই পড়েছি।
কবিতা সম্পর্কে আপনার নিজস্ব সংজ্ঞা কী?
কোনো শিল্পের অনড় কোনো সংজ্ঞা নেই। সংজ্ঞা সমাজ মানুষ এবং কবি। কার সাথে কার সম্পর্ক আর তা কেমন তা হবে তার যথাযথ নির্ণয়ের সংজ্ঞা।
কোন বাণী আপনাকে এখনো উজ্জীবিত রাখে?
আমি আবেগপ্রবণ মানুষ, তবে অকারণ আবেগায়িত হওয়ার প্রবণতা আমার খুবই কম অন্তত লেখার ব্যাপারে। কোনো বাণীই স্থায়ী নয়। সমাজের বিভিন্ন অবস্থানে কোনো একটি বিষয় আবেগে উদ্বেল হলেও পরিবেশ পরিস্থিতির পরিবর্তনে বদলায় সবই। আমি বদলের দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্বাসী।


একটি সুন্দর স্বপ্নিল জগৎ প্রত্যাশা করি : মোশাররফ হোসেন খান
কেন লিখতে এলেন?
আসলে লিখতে এলাম কথাটি ঠিক নয়। বরং কৈশোর লেখাই আমাকে টেনে এনেছে তার বিশাল জগতে। আমার গোটা জীবনে লেখাই ছিল অন্যতম কাজ। এখনও তাই আছে।
লেখালেখি না করলে কী করতেন?
আমাকে তো লেখালেখি করার জন্যই আল্লাহ পাক দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। সেই কাজই আমি সাধ্যমতো করছি। অন্য কিছু করার তো প্রশ্নই আসে না।
কবিতায় নিজেকে কেমন অনুভব করেন?
কবিতা লেখা যদিও অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ব্যাপার, তবুও আমি কবিতাতেই বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। কবিতার মধ্য দিয়েই আমি একটি সুন্দর স্বপ্নিল জগৎ প্রত্যাশা করি। আমি চাই প্রশান্ত হোক অশান্ত পৃথিবী।
জীবনের ব্যর্থতার কথা বলুন!
আমার জীবনে কোনো ব্যর্থতা আছে কি না আমি জানি না। ওসব নিয়ে ভাবিও না। কারণ জানি আমি কী করছি। আমার গন্তব্য সম্পর্কেও আমি ওয়াকিবহাল। আমি আমার গন্তব্যে পৌঁছার জন্য অনেক লাভাস্তূপ, আগুনের দরিয়া, দাউ দাউ পর্বতশৃঙ্গকে টপকে এসেছি। কবি হতে গেলে অসীম সাহসী হতে হয়।
নিজের সম্পর্কে যে অভিযোগ শুনতে মিষ্টি লাগে?
‘কবিতাসহ আপনি সাহিত্যের এতগুলো শাখায় সাবলীলভাবে বিচরণ করেন। দু’টি মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করেন। এ ছাড়া সাহিত্যের প্রাসঙ্গিক কাজ করেন। এতসব পারেন কিভাবে?’
এখনো অপূর্ণ যে স্বপ্ন?
স্বপ্ন তো স্বপ্নই। তবে আমার তেমন কোনো স্বপ্ন অপূর্ণ নেই। আলহামদুলিল্লাহ। আমি ছোটবেলা থেকে কবি হতে চেয়েছিলাম। এটা ছিল আমার একমাত্র স্বপ্ন। আল্লাহ পাক সে স্বপ্ন পূরণের ভেতর দিয়ে আমাকে অনেক কিছু দান করেছেন।
লেখক হওয়ার পথে যে প্রতিবন্ধকতা জয় করেছেন?
এটাতো জীবনের সব ক্ষেত্রের জন্যই প্রযোজ্য। আগেই তো বলেছি সেটা। আল্লাহর রহমতে সব বাধা বিপত্তি অতিক্রম করেছি।
পাঠকের ভালোবাসা কেমন পান?
লেখক পাঠক এবং এর বাইরেও আমাকে অনেক মানুষ ভালোবাসেন। তারা যতটা ভালোবাসে, আমি ততটা ভালোবাসা পাই উজ্জীবিত হই।
বারবার কোন বই পড়ার ইচ্ছে তাড়িত করে?
দেশীয় বিশ্বসাহিত্যের অনেক নির্বাচিত বই আছে। যেগুলো আমার নিত্যপাঠের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু যে গ্রন্থের কাছে আমি চিরঋণী এবং বারবার যে গ্রন্থের কাছে আমি ফিরে আসি সেটি হলো মহাগ্রন্থ আল কুরআন।
কবিতা সম্পর্কে আপনার নিজস্ব সংজ্ঞা কী?
আমি মনে করি কবিতা অনেকটা ঐন্দ্রজালিক বিষয়। রহস্যাবৃত। কবিকে সেসবের গভীরে প্রবেশ করতে হয়।
কোন বাণী আপনাকে এখনো উজ্জীবিত রাখে?
মাটির ডাক ‘মিনহা খালাক্বনাকুম, ওয়া ফিহা নুয়িদুকুম, ওয়ামিনহা নুখরিজুকুম তারাতান উখরা।’
Ñ মেজবাহ মুকুল


আরো সংবাদ



premium cement