০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


শ্রীনগরে ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে এক অসহায় মায়ের সংবাদ সম্মেলন

শ্রীনগরে ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে এক অসহায় মায়ের সংবাদ সম্মেলন - ছবি : নয়া দিগন্ত

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক অসহায় মা।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় শ্রীনগর প্রেস ক্লাবে উপজেলার সেলামতি স্বাগতমপাড়া গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা ফাতেমা বেগম (৫০) এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ফাতেমা বেগম জানান, প্রায় ২৫ বছর আগে তার স্বামী অন্যত্র বিয়ে করে তাদেরকে ফেলে রেখে চলে যায়। একজন গৃহিনী হিসাবে ওই সময় ছোট ছোট দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে অথৈ সাগরে পরে যান। নিরুপায় হয়ে সন্তানদেরকে নিয়ে ভাইদের সংসারে এসে আশ্রয় নেন। পরবর্তীতে ভাইদের সহযোগীতায় তিনি দুবাই চলে যান। সেখানে ১০ বছর কঠিন পরিশ্রম করে দুই ছেলেকে দুবাই নেয়। ছেলেদেরকে দুবাই রেখে অসুস্থ্য শরীর নিয়ে তিনি দেশে চলে আসেন। ফারদুল হুট করে দেশে এসে বিয়ে করে।

ফারদুলের বিয়ের সময় করা ঋণ পরিশোধ ও পরে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য পপি ও জাগরণী এনজিও থেকে ফাতেমা বেগম ১০ লাখ টাকা ঋণ নেন। এরমধ্যে ফারদুল কৌশলে তার জমি লিখে নেয়। কথা ছিল ফারদুল মালয়েশিয়া গিয়ে এনজিওর ঋণের টাকা পরিশোধ করবে। সে বেশ কিছুদিন কিস্তির টাকা পরিশোধ করলেও পরবর্তীতে তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তারের পরামর্শে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেয়।

ফাতেমা বেগম জানান, তার ছেলের বউ কথায় কথায় তাকে মারধর শুরু করে। লজ্জায় ঘৃণায় সে অত্মহত্যার প্রস্তুতি নিয়েছিল।
ফাতেমা বেগমের ছোট ভাই রাসেল ভাগনেকে বুঝিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে। এতে রাসেল আমার পক্ষ নিয়েছে মনে করে আমার পুত্রবধূ মাহমুদা মামা শশুর রাসেলের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ মামলা করে।

ফাতেমা বেগম আরো জানান, এনজিওর অনবরত চাপের কারণে তিনি দিশেহারা হয়ে পরেন। এনজিওর ঝামেলা এড়াতে পুত্রবধূ দেউলভোগ এলাকায় এসে ভাড়া বাসায় উঠেন। একপর্যায়ে কোনো উপায় না দেখে তিনি কিস্তি পরিশোধের জন্য এক লাখ ৪৫ হাজার টাকায় বসত ঘর বিক্রি করে দেন। ঘরটি ভেঙে নেয়ার দিন পুত্রবধূ ভাড়াটিয়া লোকজন এনে ফাতেমা বেগমকে মারধর শুরু করে। নিরুপায় হয়ে তিনি তার ভাই রাসেলকে ফোন দেন। এ সময় ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিক আব্দুর রকিব ও অমিত খান সেখানে উপস্থিত হয়। তাদের উপস্থিতি দেখে ভাড়াটিয়া বাহিনী সটকে পরে।

ঘর বিক্রি নিয়ে শ্রীনগর থানায় অভিযোগ হলে পুলিশ দুই পক্ষকে ডেকে সালিশ মিমাংসা বসে। সেখানে সুবিধা করতে না পেরে আক্রোশের বশবর্তী হয়ে পুত্রবধূ আদালতে ফাতেমা বেগমের ভাই রাসেল, ভাতিজা ইব্রাহিমসহ দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা করে। মামলায় রাসেল গ্রেফতার হয়ে হাজতে রয়েছে।

ছেলে ও পুত্রবধুর এমন অন্যায় অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে ফাতেমা বেগম প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement