ভাঙ্গায় গৃহবধূর ৩ মেয়েসন্তান প্রসব, সাহায্যের আবেদন
- এ টি এম ফরহাদ নান্নু, ভাঙ্গা (ফরিদপুর)
- ১৯ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৩
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক গৃহবধূ একসাথে তিনটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন শত শত লোক ওই গৃহবধূ ও তার তিন কন্যা সন্তানকে দেখতে তার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন। তিনি তার সন্তানদের লালন-পালন করার জন্য সাহায্য প্রার্থনা করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের চর-ব্রক্ষণপাড়া গ্রামে।
রেহানা চর-ব্রক্ষণপাড়া গ্রামের নাজের ফকিরের স্ত্রী। নাজের ফকির চট্টগ্রামে একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন।
জানাযায়, উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের চর-ব্রক্ষণপাড়া গ্রামের নাজের ফকিরের স্ত্রী রেহানা বেগমের (৩০) প্রসব বেদনা উঠলে তৎক্ষণাৎ তাকে ফরিদপুর আরোগ্য সদন হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গত ৪ মার্চ রেহানা বেগমের গর্ভে একে একে তিনটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয় বলে রেহানা বেগম জানান। সন্তান প্রসবের পাঁচ দিন পরে হাসপাতাল থেকে তারা বাড়িতে আসেন। বর্তমানে মা এবং তার তিন সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন ভালো আছেন বলে জানান রেহানা বেগম।
মঙ্গলবার রেহানা বেগম ও তার দুই বোন তিনটি কন্যা সন্তান নিয়ে হাজির হন ভাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমানের কার্যালয়ে। সেখানে উৎসুক জনতা শিশু তিনটিকে এক নজরে দেখতে ভিড় জমান।
এ ব্যাপারে গৃহবধূ রেহানা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আল্লাহ আমার ঘড়ে তিনটি কন্যা সন্তান দিয়েছে এতে আমি খুশি। আমার তিন কন্যার নাম ও রেখেছি আনাহিতা মিম, আরোহী জান্নাত এবং নাজিফা নুসরাত। আমার আরো একটি পুত্র সন্তান রয়েছে সে পুলিয়া উচ্চ-বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। আমার স্বামীর পক্ষে সংসার চালিয়ে চার ছেলেমেয়ের ভরণ-পোষণ করা সম্ভব নয়। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আবেদন করছি।
এ ব্যাপারে কথাহয় ভাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, বাচ্চ তিনটি সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমরা সহযোগিতা করবো। এই মুহূর্তে আমরা রেহানা বেগমকে মাতৃকালীন ভাতা দিয়ে দেব। ঈদের আগেই রেহানা বেগমের তিন কন্যার জন্য ঈদসামগ্রী পাঠিয়ে দেবো।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা