ফতুল্লায় বিএনপির ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার নেতাকর্মীরা হলেন- কুতুবপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম ওরফে নজু মাতবর, ফতুল্লা থানা বিএনপির সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম টিটুর ছোট ভাই স্বপন, বিএনপিকর্মী মীর মাসুদ, মো: আলী ও নাজমুল হুদা শিবলু।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (আইসিপি) মাহাবুবুর জানায়, ফতুল্লা থানায় দায়ের করা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ফতুল্লা মডেল থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নজু মাতবর, স্বপন, মীর মাসুদ, মো: আলী ও শিবলুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

এর আগে ফতুল্লা থানায় বিএনপির ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম মামলাটি দায়ের করেছেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার সস্তাপুরে বিএনপির ৭০ জন নেতাকর্মী সশস্ত্র অবস্থায় হাতে মশাল, লোহার রড, হকিস্টিক, চাপাতি, ককটেল নিয়ে পরিকল্পিতভাবে স্লোগান দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে টায়ারে আগুন ধরায় ও ককটেলের বিস্ফোরক ঘটায়। এসময় বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাংচুর করা হয়।

ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়- ৩ টুকরা লাল কসটেপ মোড়ালো বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ, ৪টি লোহার রড, মশাল মিছিলে ব্যবহৃত ৮টি বাঁশের লাঠি, একটি মাঝারি আকারের পোড়া টায়ার ও ভাঙ্গা কাঁচের অংশ।

মামলার আসামিরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খোকা, শহিদুল ইসলাম টিটু, ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মাদবর, বিএনপি নেতা আলী আহমেদ ইঞ্জিনিয়ার, এনামুল হক মামুন, হান্নান মিয়া, ইসমাইল হোসেন, শহিদুল্লাহ, ইসমাইল হোসেন খান, জাহাঙ্গীর, আলমগীর, আমির হোসেন, মিঠু, রনি, শাহিন, জাকির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, বিল্লাহ হোসেন, ইকবাল, জুয়েল আরমান, নয়নসহ অজ্ঞাত ৫০ জন।

এর আগেও সোমবার দিবাগত রাতে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই শাহাদাত হোসেন আরেকটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়কসহ দলটির ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।