০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


২০ বছর পর হত্যার রহস্য উদঘাটন, দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রভাংশু হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন - ছবি : নয়া দিগন্ত

দীর্ঘ ২০ বছর পর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার চাঞ্চল্যকর প্রভাংশু হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রভাংশুর পরিবারসহ কোটালীপাড়ার শতাধিক মানুষ হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গোপালগঞ্জ শহরে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে।

মানববন্ধন চলাকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী বক্তব্য রাখেন।

তারা বলেন, আসামিরা উচ্চবিত্ত ও প্রভাবশালী হওয়ায় তারা মামলাটিকে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ঝুলিয়ে রেখেছিল। অনেক দেরিতে হলেও চাঞ্চল্যকর ও ক্লু-হীন এ হত্যামামলাটির রহস্য উদঘাটন করায় তারা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

জানা যায়, ২০০১ সালের ১৫ মার্চ গভীর রাতে কোটালীপাড়ার সিকির বাজারস্থ ‘বাংলাদেশ মেডিকেল হল’ নামক ওষুধের দোকানের কর্মচারী প্রভাংশু বিশ্বাস (৩৩) হত্যাকাণ্ডের পর দিন ১৬ মার্চ তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোটালীপাড়া থানায় একটি হত্যামামলা (নং-০৬) দায়ের করা হয়। পরে কোটালীপাড়া থানা, সিআইডি, পিবিআই, মুকসুদপুর সার্কেল, জুডিশিয়াল তদন্ত ও গোপালগঞ্জ সদর সার্কেলের সাতজন তদন্তকারী কর্মকর্তা এ ক্লুলেস মামলাটি তদন্ত করেন।

সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন দু’জন আসামিকে গ্রেফতার করেন এবং এ মামলার রহস্য উদঘাটন করে তিনজন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের চার বছর আগে থেকেই প্রভাংশু ওই দোকানে কর্মচারী ছিলেন। কর্মচারী থাকার কারণে দোকান-মালিক সুধীর কুমার গৌতমের বাড়িতে তিনি তিনবেলা খাওয়া-দাওয়া ও আসা-যাওয়া করতেন। এ ফাঁকে তার সাথে দোকান-মালিকের স্ত্রী বা বোনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে দোকান-মালিক সুধীর কুমার গৌতম তার বেয়াই দেবাশীষ বিশারদ ও আরেক আসামি সুশীল দাসকে নিয়ে ১৫ মার্চ গভীর রাতে দোকানের মধ্যেই প্রভাংশুকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর কিছু ওষুধপত্র এলোমেলো ছিটিয়ে রাখেন এবং অজ্ঞাত চোর বা ডাকাত তাকে হত্যা করেছে বলে প্রচার করেন।


আরো সংবাদ



premium cement