২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফরিদপুরে নেই ভেন্টিলেশন মেশিন

ফরিদপুরে নেই ভেন্টিলেশন মেশিন - নয়া দিগন্ত

মুমূর্ষ রোগীদের কৃত্রিমভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নেয়ার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা সবক’টি ভেন্টেলেশন সিষ্টমই নষ্ট। ওই হাসপাতালের ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) ১৬টি বেডের সাথে ১৬টি ভেন্টেলেশর মেশিন রয়েছে। তবে পাঁচ বছর আগে ফমেক হাসপাতালে প্রতিস্থাপনের পর অদ্যাবদি এসব মেশিন পরীক্ষা করে দেখা হয়নি।

সম্প্রতি করেনা ভারইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ভেন্টিলেশন মেশিন জরুরী হওয়ায় এসবের খোঁজ পরে। তবে এসব মেশিন ক্রয় নিয়ে দুদকের দায়ের করা মামলা থাকায় সেসব ঠিকঠাক করে চালু করা যাবে কিনা তা নিয়েও কর্তৃপক্ষ দোটানায়।

ফরিদপুরের আর কোন সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালে এই ভেন্টিলেটর সুবিধা নেই। এ অবস্থায় ফমেকের অচল হয়ে পরে থাকা এই ভেন্টিলেশর মেশিনগুলোই সচল করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে কবে নাগাদ এটি চালু হবে তা সহসাই বরতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা।
ফমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান জানান, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক দরপত্র আহ্বানের পর পাঁচ বছর আগে হাসপতালের এই আইসিইউ ইউনিট চালু করা হয়। সেখানে ১৬টি বেডের সাথে ১৬টি ভেন্টিলেটর মেশিন যুক্ত রয়েছে। তবে ওই ইউনিটটিতে জনবল না থাকায় অদ্যাবদি চালু হয়নি। মেশিনগুলো এখন অকেজো পরে আছে।

তিনি জানান, সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের কারণে আমরা ভেন্টিলেটরগুলো পরীক্ষা করে দেখি একটিও সচল নেই। তবে ফরিদপুরে করোনা পরীক্ষা শুরু হওয়ার পাশাপাশি আমরা এসব ভেন্টিলেটর মেশিনগুলোও চালু করতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ফমেক হাসপাতাল ছাড়া আর কোন হাসপাতালে এই ভেন্টেলেশন ব্যবস্থা নেই। জেলার করোনা কমিটির সভায় আমরা ফমেকের এই ভেন্টিলেশন চালুর বিষয়ে আলোচনা করেছিলাম।

তবে এই ভেন্টিলেটরযুক্ত আইসিইউ ইউনিটের মালামাল ক্রয়ে দুর্নীতি হওয়ায় দুদকের দীর্ঘ তদন্ত শেষে একটি মামলা হয়েছে। চলমান ওই মামলার আলাতম এগুলো। এখন এসব ভেন্টিলেটর মেশিন সচল করার উদ্যোগ নেয়া ঠিক হবে কিনা সেটিও একটি প্রশ্ন। তিনি বলেন।

অবশ্য চলমান এই সঙ্কটে জাতীয় স্বার্থে এসব যন্ত্র ব্যবহারে কোনো আইনগত বিপত্তি থাকার কথা নয় বলে জানিয়েছেন দুদকের ফরিদপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ।


আরো সংবাদ



premium cement