৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসন

আ’লীগের ২২ বছরের দুর্গ ভাঙতে চান আশরাফ উদ্দিন বকুল

ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল -

ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসনে বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন চান।

২৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ আসনটি ১৯৯৬ থেকে টানা ২২ বছর আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং শিক্ষিত, যোগ্য ও সাহসী প্রার্থীর অভাবে এ আসনটি বিএনপির ভোট ব্যাংক থাকা সত্ত্বেও বার বার আ’লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর অর্থাৎ আ’লীগের দখলে রয়েছে। এবারো পাঁচ বারের এমপি ও সাবেক মন্ত্রী রাজু এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে সূত্র জানায়।

কিন্তু এ আসনে বিএনপির কে হবেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী- এ নিয়ে নানান আলোচনা সমালোচনা ও হিসাব-নিকাশ চলছে তৃণমূল নেতাকর্মী-সমর্থকদের মাঝে। এ আসনে ডামি প্রার্থীসহ ১১ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা যায়। কিন্তু প্রায় ১০ বছর ধরে মাঠে রয়েছে হাতেগোনা ২/৩ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। তাদের মধ্যে অন্যতম ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল। তিনি ধানমন্ডি থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি। এছাড়াও পেশাজীবী সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)-এর সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

বিএনপির ক্লান্তিলগ্নে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে এবং টেলিভিশনে টকশো রাজনীতি ব্যাপক আলোচিত ভূমিকা রেখেছেন ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ। নির্বাচনের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে তিনি প্রতিটি কেন্দ্র ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের তথ্য সংগ্রহ করে নানান পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন, যা একাদশ সংসদ নির্বাচনে সফলতা আসবে বলে মনে করছে নেতাকর্মীরা।

স্বাধীনতার পর এ আসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ফলাফল থেকে জানা যায়, স্বাধীনতার পর ১ম সংসদ ১৯৭৩ (আ’লীগ), ২য় ১৯৭৯ (বিএনপি), ৩য় ১৯৮৬ (আ’লীগ), ৪র্থ ১৯৮৮ (জাতীয় পার্টি), ৫ম ১৯৯১ (বিএনপি), ৬ষ্ঠ ১৯৯৬ (বিএনপি), ৭ম ১৯৯৬ (আ’লীগ), ৮ম ২০০১ (আ’লীগ), ৯ম ২০০৮ (আ’লীগ) এবং ১০ম সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় (সাবেক মন্ত্রী) রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু-এমপি আওয়ামী লীগের সংসদ নির্বাচিত হয়।

কয়েকজন নেতা বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার গঠন করলেও এ আসনটি আ’লীগ দখলে রাখে। তবে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল আলী মৃধাকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে একাদশ সংসদ নির্বাচনে কাজে লাগাতে পারলে আসনটি উদ্ধার সম্ভব বলে মনে করেন।

এ আসনে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার ভোটার রয়েছে। দাঙ্গাপ্রবণ এলাকা হিসেবে চরাঞ্চলের ৮টি ইউনিয়ন। এ আসনটি উদ্ধারে অনেকে মনে করছেন ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল ভালো করবেন। তবে বিএনপির অন্য প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়ন পাবেন বলে এলাকায় সরব উঠেছে বিএনপি কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. এ কে নেছার উদ্দিন, ঢাকা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক এম.এন জামান, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ¦ জামাল আহম্মেদ চৌধুরী ও ইতু ভূইয়া।


আরো সংবাদ



premium cement