৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মোহিনী কুমগাংসান

-

বলছি কুমগাংসানের কথা। এটি বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় প্রাকৃতিক এলাকা। এর মোহিনী রূপ সবাইকে মুগ্ধ করে। এ এলাকার অবস্থান উত্তর কোরিয়ায়।
বিদেশী ষড়যন্ত্র আর কিছু কোরীয় নেতার আদর্শের নামে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কারণে কোরীয় উপদ্বীপ বিভক্ত হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে। কৃত্রিমভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় দুই কোরিয়া- উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া। সমাজতান্ত্রিক উত্তর কোরিয়া বাইরের দুনিয়া থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দুই কোরিয়ার মধ্যে শত্রুতা চলতে থাকে। দু’দেশের মানুষ দু’দেশে যোগাযোগ ও ভ্রমণ থেকে বঞ্চিত হয়। ১৯৯৮ সাল নাগাদ এ অবস্থার বেশ পরিবর্তন হয়। উত্তর কোরিয়া বিদেশী পর্যটকদের কুমগাংসান ভ্রমণের সুযোগ দেয়। অনেক পর্যটক এখানে আসেন প্রথমে প্রমোদ তরীতে জলপথে, পরে নতুন নির্মিত সড়কপথে। পর্যটকদের মধ্যে দক্ষিণ কোরীয়দের সংখ্যাই বেশি। দক্ষিণ কোরীয় পর্যটকের ঢল সামাল দেয়ার জন্য উত্তর কোরিয়া ২০০২ সালে কুমগাংসানে গড়ে তোলে কুমগাংসান পর্যটন এলাকা।
এটি একটি বিশেষ প্রশাসনিক এলাকার মর্যাদা পায়। কুমগাংসান মানে হীরক পর্বত। পর্যটন এলাকার আয়তন ৫৩০ বর্গকিলোমিটার। এখানে রয়েছে পর্বতের পাদদেশে রিসোর্ট, দৃষ্টিনন্দন আর মনকাড়ানিয়া ভূদৃশ্য। বলতে গেলে মানুষকে আকৃষ্ট করার মতো অনেক কিছু আছে এখানে। ১৯৯৮ সাল থেকে অসংখ্য দক্ষিণ কোরীয় এখানকার রিসোর্ট ভ্রমণ করে। বিনোদন বা পর্যটন এলাকার বাইরে যাওয়া নিষেধ। ২০০৮ সালে পার্ক ওয়াং-জা নামে ৫৩ বছর বয়সী এক দক্ষিণ কোরীয়কে গুলি করে হত্যা করা হয়। উত্তর কোরীয় কর্তৃপক্ষের মতে, তিনি সামরিক এলাকায় প্রবেশ করেছিলেন। এরপর উত্তর কোরিয়া সাময়িকভাবে রিসোর্টে পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধ করে। তবে দক্ষিণ কোরীয় ব্যবস্থাপনায় আমেরিকানদের আড়াই দিনের ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হয়।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement