০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


প লি নে শি য়া ন লি জে ন্ট

বাইন মাছ ও একটি নারকেল গাছ

-

(গত দিনের পর)

জলকন্যা এবার পর্যটকের পাশে গিয়ে বসে। বলে, ‘পড়তে পারছ না? শোনো তাহলে- মেয়েটি নাম ছিল হিনা। সকালের রোদের মতো উজ্জ্বল ছিল তার গায়ের রঙ। সিল্কের মতো তার মাথার সোনালি চুল। মেয়েটি যতই ডাঙর হতে লাগল, ততই তার রূপের দ্যুতি ছড়িয়ে পড়তে লাগল সারা তাহিতি দ্বীপে।
তার রূপের খ্যাতি অবশেষে ছড়িয়ে পড়ে সাগর জলের অতল তলেও। সেখানে শত শত ঝিনুক, কঙ্কর ও মাছেদের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে হিনার রূপের খ্যাতি। হিনা যেখানে যায়, তার রূপের ছটায় সেখানকার বাতাস দোলা দেয়। জীবজন্তু ও লতাপাতা নড়েচড়ে ওঠে। ছুঁয়ে দিতে চায় তার সোনায় মোড়ানো শরীর। হিনার রূপের ছটায় শোভিত হয়ে ওঠে তাহিতি দ্বীপের গাছ ও প্রাণীকুল।
এক দিনের কথা। হিনা সাগর জলে সাঁতার কাটছিল একা। সখিরা স্নান সেরে আগেই চলে গিয়েছিল। তো সাঁতরিয়ে হিনা এক সময় চলে যায় অনেক দূর। এমন সময় হিনাকে দেখতে পায় সাগর তলের ‘বাইন কুমার’ (প্রিন্স অব ইল)। বাইন কুমারকে চেনো পর্যটক? সে আর কেউ নয়, এই সাগর জলের মাছ সে। জলে যত বাইন মাছ আছে, তাদের রাজার পুত্র সে।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement