আজ তোমরা জানবে বিয়ারক্যাট সম্পর্কে। এটি বৃক্ষবাসী প্রাণী। গাছের ডাল ধরে ঝুলে থাকে। এক ডাল থেকে লাফিয়ে অন্য ডালে যায়। লিখেছেন শাহরিয়ার মাসুম
বলতে পারো বিয়ারক্যাট কোন পরিবারভুক্ত প্রাণী? এটি ভিভারিডি পরিবারভুক্ত স্তন্যপায়ী প্রাণী। বিয়ারক্যাট ভল্লুকও নয়, বিড়ালও নয়। স্থূলকায় দেহ ও সর্বভুক স্বভাবের কারণে একে ভল্লুকের সাথে তুলনা করা হয়। কিন্তু আকারে এটি একটি বড় আকারের বিড়ালের মতো। দুটো প্রাণীর সাথে মিল থাকার কারণেই সম্ভবত এর নাম বিয়ারক্যাট হয়েছে। এরা এশিয়ান বিয়ারক্যাট বা পালওয়ান বিয়ারক্যাট নামেও পরিচিত। ভিন্ন নাম বিনতুরং। বাংলাদেশ, ভুটান, মিয়ানমার, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, নেপাল ও ফিলিপাইনের বৃষ্টিপ্রধান অঞ্চলের জঙ্গলে এদের দেখা যায়।
এ প্রাণীর গঠন বা আকার সম্পর্কে নিশ্চয়ই তোমাদের ধারণা হয়েছে। বলতে পারো এর দেহের দৈর্ঘ্য কত? দেহের দৈর্ঘ্য ৬০ থেকে ৯৬ সেন্টিমিটার। গড় ওজন ৯ থেকে ১৪ কেজি। কোনোটির ওজন ২২ কেজিও ছাড়িয়ে যায়। দেহ মোটা কালো লোমে ঢাকা। লোমশ লেজ এদের পঞ্চম হাতের মতো কাজ করে। অর্থাৎ লেজ দিয়ে এরা গাছের ডালের সাথে প্যাঁচ দিয়ে ঝুলে থাকতে পারে। লেজের দৈর্ঘ্য এদের দেহের দৈর্ঘ্যরে কাছাকাছি। বিয়ারক্যাট বৃক্ষবাসী প্রাণী। গাছের ডাল ধরে ঝুলে থাকে। এক ডাল থেকে লাফিয়ে অন্য ডালে যায়।
এ প্রাণী লেজ দিয়ে পরস্পরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে। লেজ দিয়ে যোগাযোগ! ব্যাপারটা খটকা লাগার মতোই। আসল কথা হচ্ছে এদের লেজের নিচে রয়েছে ঘ্রাণগ্রন্থি। আর এ গ্রন্থি নিঃসৃত ঘ্রাণ পাওয়ার পরই অন্য বিনতুরংয়ের উপস্থিতি টের পায়। এ ঘ্রাণ অনেকটা ঘিয়ে ভাজা ভুট্টার খইয়ের মতো।
বিনতুরং সাধারণত ফল খেয়ে জীবন ধারণ করে। তবে পাখির ডিম, পাতা এমনকি ছোট প্রাণীও খায়Ñ এ রকম প্রমাণ রয়েছে। এদের গর্ভধারণ সময় ৯১ দিন। স্ত্রী বিনতুরং সাধারণত দু’টি বাচ্চা প্রসব করে। তবে ছয়টি বাচ্চা জন্ম দেয়ার ঘটনাও ঘটে।
বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান; যেমনÑ মিসৌরি স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়, সেন্ট ভিনসেন্ট কলেজ, সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয় বিনতুরংকে তাদের সৌভাগ্য আনয়নকারী (মাস্কট) হিসেবে গ্রহণ করেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা