০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

ষোল.
বাড়ি ফিরে রেজা-সুজা দেখল, খাবার রেডি করে ফেলেছে মিনাফুপুর নতুন হাউজ মেড মিসেস কেরি জনসন। টেবিলে সাজাচ্ছে। ছোটখাটো মহিলা। সোনালি চুল। নীল চোখ। পাখিটাকে দেখে বলে উঠল, ‘কী সুন্দর পাখি! তোমাদের ফুপুর কাছে ওটার কথা শুনলাম।’
রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এলেন মিনাফুপু। টেবিলের দিকে চোখ পড়ল রেজার। টেবিলের মাথার কাছে একটা বাড়তি বাসন রাখা দেখতে পেল।
‘ফুপু, চাচা এসেছে নাকি!’ চেঁচিয়ে উঠল রেজা।
ওয়াশিংটন গিয়েছিল নাসের। ফুপু জানালেন, ‘এখনো বাড়ি আসেনি। ইয়েলো বিচে পৌঁছেই ফোন করেছে। চলে আসবে যে কোনো সময়। তোদের কাছে বাজপাখি দেখে মনে করেছিস খুশি হবে? হবে না।’
‘বলা যায় না, ফুপু,’ হাসিমুখে রেজা বলল। ‘হয়তো বেশিই খুশি হবে। পাখিটার কবুতর শিকার আর চুনি পাথরের কথা শুনলে।’
সব শুনে হা হয়ে গেলেন মিনাফুপু। মিসেস জনসনও অবাক।
পাখিটাকে গ্যারেজে রেখে আসতে বললেন মিনাফুপু। ওখানে রাখার ইচ্ছে ছিল না রেজা-সুজার। কিন্তু মিনাফুপুর কথা অমান্য করার সাহস হলো না। পাখিটাকে খাওয়ানোর পর গ্যারেজে এনে রাখল। বার্গলার অ্যালার্ম চালু করে দিয়ে, গ্যারেজের দরজায় তালা লাগিয়ে বেরিয়ে এলো।
কয়েক মিনিট পরেই বাড়িতে ঢুকল আবু নাসের। লম্বা, বলিষ্ঠ দেহ। বুদ্ধিদীপ্ত চোখ। সুদর্শন। সোজা এসে খাবার টেবিলে বসল। তার ভঙ্গিতেই বোঝা গেল, তাড়া আছে। নিশ্চয় বড় কোনো কেসের কাজ হাতে নিয়েছে।
ভাতিজাদের কৌতূহলী চোখে তাকাতে দেখে বলল, ‘একটা সমস্যার কিনারা করে দিতে অনুরোধ করেছে আমাকে ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট। পুলিশ কিছু করতে পারছে না। ইমিগ্রেশন জানতে পেরেছে, আটলান্টিক উপকূল দিয়ে নাকি প্রচুর বিদেশী লোক অবৈধভাবে আমেরিকায় ঢুকছে।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement