০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


গাছপালা

তমাল

-

আজ তোমরা জানবে তমাল সম্পর্কে । এটি বাংলার প্রকৃতিতে দুর্লভ, তবে দুষ্পাপ্য নয়। তমালের নীল ছায়া যেন কবি জীবনানন্দ দাশেরই সৃষ্টি। লিখেছেন মৃত্যুঞ্জয় রায়
বাংলাদেশের প্রকৃতিতে তমাল দুর্লভ, তবে দুষ্পাপ্য নয়। তমালের নীল ছায়া যেন কবি জীবনানন্দ দাশেরই সৃষ্টি। তার রূপসী বাংলায় তমালের কথা বলতে গিয়ে লিখেছেন, ‘মধুকর ডিঙা থেকে না জানি সে কবে চাঁদ চম্পার কাছে/এমনি হিজল-বট-তমালের নীল ছায়া বাংলার অপরূপ রূপ।’ তমালের তরুরূপকে তুলনা করা হয়েছে শ্রীকৃষ্ণের রূপের সাথেও। সে জন্য কিছু প্রাচীন তমাল বৃক্ষ এখনো টিকে আছে পূজ্য হয়ে বেনাপোল পাঠবাড়ী আশ্রম, ঠাকুরগাঁও গোবিন্দজীউ মন্দির, দিনাজপুর রাজবাড়ী কালিয়া কান্তজীউ মন্দির প্রাঙ্গণে। তমাল আছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের বোটানিক্যাল গার্ডেনেও।
তবে বাংলার প্রকৃতির চেয়ে সাহিত্যেই যেন হিজল-তমালের ঠাঁই বেশি। তমালের ইংরেজি নাম গড়ঃঃষবফ বনড়হু, উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম এধৎপরহরধ ীধহঃযড়পযুসধং, পরিবার এঁঃঃরভবৎধব. তমালের বেশ কিছু নাম আছেÑ তমালক, নীলধ্বজ, তাপিষ্ণু, কলতান, মহাবর, পীলতাল, কালস্কন্দ ইত্যাদি। তমালগাছের কাণ্ড খাটো, ঘন কালো, অমসৃণ, আঁকাবাঁকা ও গিঁটযুক্ত। শাখা-প্রশাখা ছড়ানো, কচি প্রশাখা লতার মতো দোলায়মান, গাছ ছত্রাকৃতি, ঝোপাল, বিস্তৃত ও চিরসবুজ।
গাছের মাথা পত্রঘন এবং ছায়াময়ী। পাতার রঙ সবুজ, বল্লমাকৃতি ও নিচের দিকে অবনত। ফুল সাদা, ক্ষুদ্র ও সুগন্ধযুক্ত। বসন্তকাল ফুল ফোটার শ্রেষ্ঠ সময়। পাকা ফল গোলাকার হলুদ রঙের, দেখতে ছোট গাবের মতো। ফল থেকে এক ধরনের অম্লীয় পানীয় তৈরি করা যায়। এমনকি কাঁচা ফল কেটে শুকিয়ে ‘আমকুল’ নামে বাজারে বিক্রি হয়। শুকনো ফলের শরবত হয়। বীজ থেকে মাখনের মতো ‘কোকন বাটার’ তৈরি হয়। তমালের আদি নিবাস মিয়ানমার।
ছবি : লেখক

 


আরো সংবাদ



premium cement