৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


জা পা নি লো ক কা হি নী

কুমির ও সাদা খরগোশ

-

(গত দিনের পর)

ছোট্ট দ্বীপের এখানে সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে পাথর আর মৃত শৈবাল। বালুকাময় দ্বীপে ঘাস বা বড় গুল্মও নেই। ছোট ছোট পাথর আর বালু দিয়ে তৈরি দ্বীপটি। লাল পিঁপড়া, কাঁকড়া, টিকটিকি, সাপ ও অন্যান্য সরীসৃপের আবাসস্থল এই দ্বীপ। বড় প্রাণী বলতে এ খরগোশটিই। এ ছাড়া, কিছু জলজ প্রাণী সাগর থেকে উঠে এসে রোদ পোহায় এই দ্বীপে।
দ্বীপটিতে বড় একা এ খরগোশ। কোন কালে কিভাবে যে এই দ্বীপে সে এসেছিল, কেউ জানে না। এমনকি, খরগোশটি নিজেও জানে না, কবে কিভাবে সে এই দ্বীপে এসেছে। এখন শুধু দীর্ঘশ্বাস আর হতাশা। আহা রে! যদি ওই ইনাবা দ্বীপে যাওয়া যেত!
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সাগরপাড়ে যায় খরগোশটি। এটা-ওটা কুড়িয়ে খায়। ওর খাবারের অভাব নেই দ্বীপে। জোয়ারের সময় অসংখ্য ঘাস, লতাপাতা ও ঘাসের বীজ এসে জমে এই বালুয়ারি পাড়ে। ওগুলো খেয়ে খেয়ে বেশ মোটাতাজা হয়েছে সে। কিন্তু নিঃসঙ্গ জীবন তার। খরগোশ ভাবে, কর্মহীন নিঃসঙ্গ জীবন বড় দুর্বিষহ। যদি ইনাবা দ্বীপে চলে যাওয়া যেত! কত সুন্দর সুন্দর বৃক্ষরাজি, গাছপালা, শস্যক্ষেত। কত সুন্দর মিঠাপানির ঝরনা সেখানে। ইনাবা দ্বীপে কত খরগোশ আছে। সেসব খরগোশের সাথে বন্ধুত্ব হতো। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement