০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কে কী--------- কেন কিভাবে নাদির শাহের কথা

-

আজ তোমরা জানবে নাদির শাহ সম্পর্কে । নাদির শাহ ইতিহাসে ভারতের ধনসম্পদ ও ময়ূর সিংহাসন লুণ্ঠনকারী হিসেবে পরিচিত। লিখেছেন মুহাম্মদ রোকনুদ্দৌলাহ্
ইরান ১৯৩৫ সালের আগ পর্যন্ত পারস্য নামে পরিচিত ছিল। এ দেশের শাহানশাহ (সম্রাট) নাদির শাহ ইতিহাসে ভারতের ধনসম্পদ ও ময়ূর সিংহাসন লুণ্ঠনকারী হিসেবে পরিচিত। তার ভারত আক্রমণের সময় বাংলাদেশ মোগল সাম্রাজ্যের অধীন ছিল। বর্তমান বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান এক সময় মোগল সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। এ সাম্রাজ্য হিন্দুস্তান নামেও পরিচিত ছিল।
পারস্যের সম্রাট নাদির শাহ ভারত আক্রমণ করে সেই সময়ের মোগল সম্রাট মুহাম্মদ শাহকে পরাজিত করেন। পারস্য সম্রাট ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। মোগল সম্রাট রাজি হন। পারস্য সম্রাট এ টাকার প্রতিশ্রুতি পেয়ে দিল্লি আসেন। এ সময় গুজব ছড়ায় যে, নাদির শাহ নিহত হয়েছেন। দিল্লির অধিবাসীরা নাদির শাহের কয়েক শ’ অনুচরকে হত্যা করে। এ জন্য পারস্য সম্রাট ক্রুদ্ধ হন এবং তিনি দিল্লির অধিবাসীদের হত্যার নির্দেশ দেন। প্রায় ২০ হাজার দিল্লিবাসী নিহত হয়।
নাদির শাহ প্রায় দুই মাস দিল্লিতে অবস্থান করেন। পরে তিনি ভুবনবিখ্যাত কোহিনূর হীরকখণ্ড, শাহজাহানের তৈরী ময়ূর সিংহাসনসহ প্রায় ৭০ কোটি টাকার মণিমানিক্য আর মূল্যবান সম্পদ লুণ্ঠন করে নিয়ে ইরানে ফিরে যান। ফলে মোগল সাম্রাজ্য আরো বেশি দুর্বল হয়, অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ আর বৈদেশিক আক্রমণ বৃদ্ধি পায়।
নাদির শাহের জন্ম ১৬৮৮ বা ১৬৯৮ সালে এবং মৃত্যু ১৭৪৭ সালে। তার শাসনকাল ১৭৭৬-১৭৪৭। তথ্যসূত্র : ওয়েবসাইট


আরো সংবাদ



premium cement