৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ঐ তি হ্য

সাঁওতালদের তীরধনুক

-

আজ তোমরা জানবে সাঁওতালদের তীরধনুক সম্পর্কে। প্রথাগতভাবে প্রায় প্রতিটি সাঁওতাল পরিবারই তীরধনুক বানাতে পারে। তারা তীর ও ধনুক তৈরি
করে পাকা বাঁশ দিয়ে লিখেছেন মৃত্যুঞ্জয় রায়
সাঁওতালদের এক ঐতিহ্যবাহী অস্ত্র হলো তীরধনুক। সাঁওতালরা শিকারি স্বভাবের। তারা বনজঙ্গলে বিভিন্ন প্রাণী শিকার করে বেড়ায়। সেসব শিকারের মূল অস্ত্র হলো তীরধনুক। তবে তারা তীরধনুক দিয়ে শুধু শিকারই করে না, যুদ্ধও করে। ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহ ও ইংরেজদের বিরুদ্ধে সাঁওতালরা তীরধনুক নিয়ে যুদ্ধ করেছিল বলে জানা যায়। প্রথাগতভাবে প্রায় প্রতিটি সাঁওতাল পরিবারই তীরধনুক বানাতে পারে। তারা তীর ও ধনুক তৈরি করে পাকা বাঁশ দিয়ে। বাঁশের শক্ত অথচ বেঁকে যায় এমন শলাকে ইংরেজি ‘ডি’ অক্ষরের মতো বাঁকিয়ে তার দু’প্রান্তে শক্ত করে রশি বেঁধে দেয়। টান হয়ে থাকা এই রশিকে বলে ছাট বা ছিলা, বাঁকা বাঁশের শলাটাই ধনুক। একটা লম্বা বাঁশের শলার মাথায় লোহার তৈরি সুচালো মাথা লাগানো হয়, একে বলে ফলা। নিক্ষিপ্ত ধনুকের দিক ঠিক রাখার জন্য তার পেছনে পালক লাগানো হয়, যাকে হাইল বলে। আগে প্রতিটি সাঁওতাল বাড়িতেই তীরধনুক ছিল। এখন অনেকেই আর তীরধনুক চালানোর প্রয়োজন বোধ করে না। তা ছাড়া, এখন সরকার আইন করে পাখি ও বন্যপ্রাণী শিকার নিষিদ্ধ করায় সাঁওতালদের সেই তীরধনুকের ঐতিহ্যও লুপ্ত হতে চলেছে।


আরো সংবাদ



premium cement