৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


জয়ের ধারা ধরে রাখলো চেন্নাই, বৃথা রোহিতের শতক

জয়ের ধারা ধরে রাখলো চেন্নাই, বৃথা রোহিতের শতক - ছবি : সংগৃহীত

মোস্তাফিজুর রহমান রাতটা হয়তো ভুলেই যেতে চাইবেন। কী বেধড়ক পিটুনিই না খেয়েছেন আজ ওয়াংখেড়েতে! তবে স্বস্তির খবর তিনি না পারলেও পেরেছেন মাথিশা পাথিরানা। এই লঙ্কান বিস্ময় বালকের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে পথ হারায়নি চেন্নাই। তুলে নিয়েছে আসরের নিজেদের চতুর্থ জয়।

ঘরের মাঠে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স রোববার আতিথ্য দেয় চেন্নাই সুপার কিংসকে। যেখানে টসে হেরে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২০৬ রান তুলে চেন্নাই। জবাবে রোহিত শর্মা সেঞ্চুরি সত্ত্বেও লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি মুম্বাই। ৬ উইকেটে ১৮৬ রান পর্যন্ত তুলতে পারে তারা। চেন্নাইয়ের জয় ২০ রানে।

ওয়াংখেড়েতে যদিও ফুঁটেছে হলুদ ফুল। তবে একটুখানি এদিক সেদিক হলে বেদনায় নীল হতে হতো ধোনীদের। দুর্দান্ত এক শতক হাঁকানো রোহিত শর্মা ১৯ ওভার নাগাদ দলকে রেখেছিলেন জয়ের লড়াইয়েই। যদিও শেষ পর্যন্ত পেরে উঠেননি একজন যোগ্য সঙ্গীর অভাবে। ৬৩ বলে ১০৫* রানে অপরাজিত থাকেন রোহিত।

চেন্নাইয়ের জয়ের নায়ক মাথিশা পাথিরানা। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে একাদশে সুযোগ পেয়ে বাজিমাত করেন এই লঙ্কান। লক্ষ্য তাড়ায় উড়তে থাকা মুম্বাইকে একাই টেনে ধরেন তিনি, ২৮ রানে ৪ উইকেট নেন এই বোলার। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও যায় তার দখলে। বিপরীতে মোস্তাফিজ ৫৫ রানে নেন ১ উইকেট।

ওয়াংখেড়েতে ২০৭ রান কঠিন কোনো লক্ষ্য নয়। আইপিএলে -এর চেয়েও বেশী রান একাধিকবার পেরিয়েছে মুম্বাই। আজও ছুটছিল সেই লক্ষ্যেই। ইশান কিশান আর রোহিত শর্মা মিলে প্রথম ৭ ওভারে বিনা উইকেটে তুলে ৭০ রান।

এরপরই দৃশ্যপটে আসে পাথিরানা। প্রথম বলেই ফেরান ইশান কিশানকে, ১৫ বলে ২৩ রানে ক্যাচ দেন শার্দুল ঠাকুরকে। তিনে আসা সূর্য কুমার থিতু হতে পারেননি। আগের ম্যাচে ১৭ বলে ফিফটি হাঁকানো সূর্য দুই বলের বেশি আজ টিকতে পারেননি, ফেরেন ০ রানে।

এরপর তিলক ভার্মাকে নিয়ে জয়ের লড়াই শুরু করেন রোহিত। দু'জনের জুটিতে আসে ৩৮ বলে ৬০ রান। এই জুটিও ভাঙেন পাথিরানা। ২০ বলে ৩১ করে আউট হন তিনি। ১৩.৫ ওভারে ১৩০ রানে ৩ উইকেট হারায় মুম্বাই। এরপর আর কেউ পারেনি রোহিতকে সঙ্গ দিতে।

এরপর রোমারিও শেফার্ডকেও (১) ফেরান পাথিরানা। এর মাঝে তুষার দেশপাণ্ডে ও মোস্তাফিজুর রহমানও পান উইকেটের দেখা। টিম ডেভিডের উইকেটটা নেন মোস্তাফিজ।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই রাহানেকে (৫) হারায় চেন্নাই। আরেক ওপেনার রাচিন রাবিন্দ্রও ইনিংস বড় করতে পারেনি, ফেরেন ১৬ বলে ২১ রানে। তবে তৃতীত উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় চেন্নাই। রুতুরাজ গায়কোড় ও শিভাম দুভে মিলে দলকে এনে দেন বড় পুঁজি।

৪০ বলে ৬৯ রানের একটা ইনিংস খেলেন রুতুরাজ। তবে দুভে শেষ পর্যন্ত ইনিংসটা টেনে নেন। ৩৮ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ডেরিয়েল মিচেল করেন ১৪ বলে ১৭ রান। তবে দলকে দুই শ’ পার করতে বড় ভূমিকা রাখেন মাহেন্দ্র সিং ধোনি। ইনিংসের শেষ চার বলে তিন ছক্কায় ২০* রান করেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement