২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তরুণদের অনুপ্রেরণা নুরুল হাসান সোহান

তরুণদের অনুপ্রেরণা নুরুল হাসান সোহান - ছবি : সংগৃহীত

ধৈর্যের ফল মিষ্ট হয়- প্রবাদ বাক্যটা যেন এখন শুধুই সোহানময়। আজ যেখানে নামের শুরুতে ‘অধিনায়ক’ শব্দ সেঁটেছে, ছয় বছর আগে কখনো এই জায়গায় ভেবেছিলেন নিজেকে? সোহান এতটা ভেবেছিলেন কিনা জানা নেই৷ তবে নিজের সাথে নিজেই লড়াইটা করে গেছেন অবিরত। নিজেকে ভেঙেছেন, নতুন করে গড়েছেন; পুড়ে পুড়ে খাঁটি করেছেন।

‘সফলতার পথ যে মসৃণ নয়, সাহসের সাথে অবিরাম লড়াই এনে দেয় বিজয়।’ শব্দগুলো যেন মনে গেঁথে রেখেছিলেন সোহান। দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন, একদিন নিজেকে করবেন প্রমাণ। কখনো সুযোগ হচ্ছিল না, কখনো সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারছিলেন না, কখনো ভাগ্য সায় দিচ্ছিল না, আবার কখনো অন্যের ঘাড়ে চেপেছে অন্যের ব্যর্থতা।

পুরো ক্যারিয়ারের পরিসংখ্যান যেখানে ৩২ ইনিংসে ৩৬৭ রান, সর্বোচ্চ ৪২। গড়টা ১৮ ছুঁই ছুঁই, স্ট্রাইকরেট ১২১। তখন বলতেই পারেন খুব সাধারণ। এই আর তেমন কী! কিন্তু যখন শুনবেন শেষ ৩ মাসে ৬ ম্যাচে এসেছে ১৩০ রান, যেখানে গড়টা ৬৫! স্ট্রাইকরেট ১৪২। এরপরও কি সাধারণের আগে একটা ‘অ' বসবে না আপনার মতে?

জাতীয় দলে তখনো নিয়মিতই হননি, হঠাৎ পেয়ে গেলেন অধিনায়কত্বের দায়িত্ব। সাময়িক সময়ের জন্য দায়িত্ব পেয়েও নেতৃত্বেও সফল এই উইকেট কিপার-ব্যাটার। চার ম্যাচের তিনটিতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছিয়েছেন দলকে। শুধু নেতৃত্বে নয়, অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর ব্যাট হাতেও ধার বেড়েছে সোহানের। গড়টা ব্রাডম্যানকে স্মরণ করায়। ৯৬ গড়ে চার ম্যাচে করেছেন ৯৬ রান। অবাক করা বিষয় হলো, শেষ চার ম্যাচে তাকে আউট করতে পারেনি কোনো বোলার।

শুধু টি-টোয়েন্টি নয়, ওয়ানডেতেও সফল নুরুল হাসান সোহান। এখন পর্যন্ত মোট ছয়টি ওডিআই ম্যাচ খেলেছেন। পাঁচ ইনিংসে করেছেন মোট ১৬৫ রান। সর্বোচ্চ ৪৫ রান। পাঁচ ইনিংসে তার এভারেজ স্ট্রাইক রেট ৯৪.৮২। স্ট্রাইকরেট ৮২.৫০। এই পাঁচ ইনিংসের তিনটিতেই তিনি অপরাজিত ছিলেন সোহান। আর এই পাঁচ ইনিংসে তার ব্যাটিং পজিশন ছিল দুবার ছয় এবং সাত নম্বরে এবং একবার আট নাম্বারে। পাঁচ ইনিংসে ১০০+ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন দুবার। ৭০ স্ট্রাইক রেটের নিচে ব্যাট করেননি কোনো ম্যাচেই।


আরো সংবাদ



premium cement