০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মিয়াঁদাদের সেই ছক্কা

মিয়াঁদাদের সেই ছক্কা - ছবি : সংগ্রহ

সালটা ১৯৮৬, তারিখ ১৮ এপ্রিল

ভারতীয় ও অস্ট্রেলিয় দুই উপমহাদেশের সেরা দলগুলো নিয়ে একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছিল। যার নাম ছিল অস্ট্রাল-এশিয়া কাপ। এই টুর্নামেন্টটি ছিল বিশ্বকাপের বাইরে প্রথম কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট। টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিল চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। শারজায় সেই ফাইনালে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ইমরান খানের দল। প্রথমে ব্যাট করে গাভাস্কারের ৯০ আর শ্রীকান্তের ৭৫ রানের উপর ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ভারতের সংগ্রহ ২৪৫ রান। তখনকার ক্রিকেটে এই টার্গেটটা মোটেও সহজ ছিল না।

লক্ষ্য তারা করতে নেমে শুরতেই ব্যাকফুটে পাকিস্তান। ৬১ রানেই হারায় ৩ উইকেট। এরপর উইকেটে আসে জাভেদ মিয়াঁদাদ। এক প্রান্ত আগলে রেখে বলতে গেলে একাই জবাব দিতে থাকেন মিয়াঁদাদ। শেষ ওভারে পাকিস্তানের জিততে দরকার ১১ রান। তখনো উইকেটে পাকিস্তানের ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল মিয়াঁদাদ। ম্যাচ গড়ায় শেষ বল পর্যন্ত। শেষ বলে পাকিস্তানের দরকার চার রান আর ভারতের দরকার এক উইকেট। স্ট্রাইকে জাবেদ মিয়াঁদাদ। বোলিং প্রান্তে চেতন শর্মা। উত্তেজনার পারদ ঠাসা ম্যাচে নাটকের শেষ দৃশ্য তখন ও বাকি। শারজার গ্যালারিতে তখন পিন পতন নীরবতা। শেষ মুহূর্তে উইকেটের চারিদিকে ফিল্ডারদের অবস্থান শেষবারের মতো পরখ নিলেন। শেষ বল নিয়ে ছুটে আসছেন চেতন শর্মা। চেতন শর্মার কোমরের উচ্চতার ফুলটস ডেলিভারি মিড উইকেটের ওপর দিয়ে শারজার গ্যালারিতে আছড়ে ফেললেন মিয়াঁদাদ। কমেন্ট্রি বক্স থেকে ভেসে আসছিল,

'This is six and Pakistan have won. unbelievable victory by Pakistan and Javed Miandad hero of the moment. This is unbelievable.'

১১৪ বলে ১১৬ রানের অতিমানবীয় ইনিংস খেলে ম্যাচের ম্যান অফ দ্য ফাইনাল সেই জাবেদ মিয়াঁদাদ। মিয়াঁদাদের শেষ বলে হাঁকানো সেই ঐতিহাসিক ছয় নিয়ে চেতন শর্মা পরে বলেছিলেন, 'এরপর যখনই কারো সাথে আমার প্রথম দেখা হয়েছে সে আমাকে প্রথমেই প্রশ্ন করে, আমার শেষ বলে মিয়াঁদাদের হাঁকানো সেই ঐতিহাসিক ছয় নিয়ে এবং এই জিনিসটা চলতেই থাকে একটা সময় আমি নিজেই এটা উপভোগ করা শুরু করেছিলাম।'


আরো সংবাদ



premium cement