টার্গেট ছিল বেশ বড়। তারপরও লোকেশ রাহুল-দীপক হুদার ব্যাটে কক্ষপথেই ছিল লখনৌ সুপার জায়ান্ট। তবে এই দুজনের বিদায়ের পর কেউ মেলাতে পারেনি বল ও রানের সমীকরণ। শেষ হাসি তাই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর।
আইপিএলে এলিমিনেটর ম্যাচে বুধবার লখনৌ সুপার জায়ান্টকে ১৪ রানে হারিয়ে ফাইনালের পথে এগিয়ে থাকল বেঙ্গালুরু। ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে বেঙ্গালুরু দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে মুখোমুখি হবে রাজস্থান রয়্যালসের। তবে পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ খেলা লখনৌকে নিতে হলো বিদায়।
আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৭ রান করে বেঙ্গালুরু। জবাবে লখনৌ করতে পারে ৬ উইকেটে ১৯৩ রান। সেঞ্চুরির সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন বেঙ্গালুরু রজত পাতিদার।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা লখনৌর হয়ে সর্বোচ্চ ৭৯ রান করেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। ৫৮ বলের ইনিঙসে তিনি হাকান তিন চার ও পাঁচটি ছক্কা। ২৬ বলে এক চার ও চার ছক্কায় ৪৫ রান করেন দীপক হুদা। শেষের দিকে চার বলে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন দুশমন্ত চামিরা। বল হাতে বেঙ্গালুরুর হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন জশ হ্যাজলউড।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রানের পাহাড় গড়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রথম ওভারেই ডুপ্লেসিস গোল্ডেন ডাক মারলেও বাকি কাজ একাই সেরেছেন ওয়ান ডাউনে নামা রজত পাতিদর।
বিরাট কোহলির সঙ্গে পাতিদর দলকে নিয়ে যান ৭০ রান পযন্ত। ২৪ বলে ২৫ রান করে আভেসের বলে বিদায় নেন কোহলি। এরপর ম্যাক্সওয়েল (৯) ও মহীপাল লমরোর (১৪) দ্রুত ফিরলেও কার্তিককে সঙ্গে নিয়ে লখনৌর বোলারদের উপর রীতিমতো ঝড় বইয়ে দেন রজত পাতিদর।
৪৯ বলে তিনি পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। তিন অঙ্কে যেতে তিনি হাকান ছয়টি ছক্কা ও ১১টি চার। শেষ অবধি তিনি থাকেন অপরাজিত। ৫৪ বলে করেন তিনি ১১২ রান। ১২ চারের সাথে তিনি হাঁকান সাত ছক্কা।
২৩ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন দিনেশ কার্তিক। বল হাতে লখনৌর হয়ে একটি করে উইকেট নেন মহসিন খান, ক্রুনাল পান্ডিয়া, আভেস খান ও রবি বিষ্ণু।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা