ধন্যবাদ খান সাহেব
- আফফান উসামা
- ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:১৩, আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:০১
সাম্প্রতিক সময় কিংবা গতকালকের ম্যাচ। কথা হতে পারে আরো অনেক কিছু নিয়ে। হতে পারে অনেক তর্ক-বিতর্ক, উঠতে পারে প্রশ্ন। কিন্তু সব কিছুর শেষে তিনি একজন তামিম ইকবাল খান। মাশরাফীর ভাষায় কলিজাওয়ালা খান। সে অন্য গল্প, খান সাহেবের খানদানি বীরদর্প।
আলোচনা-সমালোচনা নিয়েই জীবন। তিনিও তার উর্ধ্বে নন। খারাপ সময়ে সমালোচনা হবে, সমালোচক আমিও নিজে৷ কখনো তা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া, আবার কখনো বা ভুলটা ধরিয়ে দেয়া। কিন্তু সমালোচনা করা আর অসম্মান করা এক নয়, দুটির আলাদা অর্থ হয়। আর নিশ্চয়ই ১৬ট বছর দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার পর, লাল-সবুজের পতাকাবাহী থাকার পর অসম্মান শব্দটা দূরে থাকাই প্রয়োজন।
খান সাহেবের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে ‘না’ বলার সিদ্ধান্তে আপনি দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আনন্দিত হতেই পারেন, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য তামিম ইকবালকে একটা ‘সাধুবাদ’ জানাতেই পারেন। বলতেই পারেন ‘সব কিছুর জন্য ধন্যবাদ খান সাহেব’। কিন্তু যদি নীতির বাইরে গিয়ে বলে থাকেন, তবে জবাবটা তামিমের মতোই দেব ‘আপনি দেশের জন্য কী করেছেন?
সমর্থকেরা সাহস, সমর্থকেরা শক্তি আর সমালোচকরা হয় উজ্জীবিত প্রত্যয়। কিন্তু সবাই যখন যার যার সীমা অতিক্রম করে নীতি থেকে দূরে সরে যায়, তখন সাকিব আল হাসানের মতো হয়ে যাওয়া ছাড়া আর কি আছে উপায়? না... না... তিনি সমর্থকদের দূরে ঠেলে দেন না, কিন্তু নিজের সব কিছুই সমর্থকদের ওপর ছেড়ে দেন না। কারণ তিনি আমাদেত চিনেছেন, বুঝেছেন আমাদের মানসিকতা। শিক্ষা নিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট ইশ্বর থেকে।
শচিন টেন্ডুলকারকে তার খেলার সময়কাল আর এখনকার সময়কালের মাঝে পার্থক্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন ‘তখন যারা আমার সাথে দেখা করার জন্য অপেক্ষায় থাকত, তারা এখন আমাকে অপেক্ষায় রাখে’। সাকিবও বুঝেছেন, যতদিন সোনালি সূর্য আলো দেবে, নিজের নামের প্রকৃত মান ততদিনই থাকবে। অন্যথায় শুধু মিডিয়া আর পত্রিকার পাতাতেই সাকিব বন্দনা হবে। নয়তো শুধুই ইতিহাসের পাতায় সোনালী হরফে!
যাহোক, তামিম ইকবাল খানকে ধন্যবাদ জানাই। কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অনেক স্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দেয়ার জন্য। আপনার কথা লেখা থাকবে মন-মানসপটে অনবদ্য সেই সেঞ্চুরিটায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা