২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সৌরভকেই ২০২৩ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বোর্ড প্রেসিডেন্ট দেখতে চান গাভাসকার

সৌরভকেই ২০২৩ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বোর্ড প্রেসিডেন্ট দেখতে চান গাভাসকার - সংগৃহিত

অন্তত ২০২৩ বিশ্বকাপ অবধি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট থাকুক। ঠিক এমনটাই প্রার্থনা করছেন প্রাক্তণ ভারতীয় অধিনায়ক সুনীল গাভাসকার। ২০১৯ সালের অক্টোবরে আচমকাই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মসনদে বসেছিলেন সৌরভ। কুলিং অফ পিরিওড অনুযায়ী ৯ মাস পরেই সৌরভের বিসিসিআই সভাপতি পদ চলে যাওয়ার কথা। তবে এই মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টে বোর্ড সভাপতি-সহ অন্যান্য বিসিসিআই পদাধিকারীদের মেয়াদ বাড়ানোর মামলা চলছে।

বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামী ২৬ জুলাই মেয়াদ শেষ হচ্ছে সৌরভের। গাভাসকারের কথায়, ‘বিসিসিআই এতবার চিঠি পাঠানো সত্ত্বেও কুলিং অফ পিরিওড নিয়ে সুপ্রিম সিদ্ধান্ত পিছিয়ে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের হাতে অনেক জরুরি মামলা রয়েছে ঠিকই। কিন্তু এটাও তো ভেবে দেখতে হবে যে, ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীরা এই সুপ্রিম সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বসে রয়েছেন বহু বছর ধরেই।’

সুনীল গাভাসকার আরও যোগ করে বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত ভাবে চাইছি, সৌরভ এবং ওর টিম ২০২৩ বিশ্বকাপ অবধি বিসিসিআই-তে থাকুক। এখন দেখার এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট কী জানায়। ঠিক যেমন ভাবে সৌরভ ভারতীয় দলকে একটা সংকটজনক পরিস্থিতিতে রক্ষা করেছিল। বহু ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীর আস্থা আবার ভারতীয় দলে ফিরিয়ে এনেছিল। ঠিক সেই ভাবেই সৌরভ এবং তাঁর টিম বিসিসিআই-কেও সংকটজনক অবস্থা থেকে রক্ষা করেছে এবং সামনের দিনে বোর্ডের ভবিষ্যত আরও উজ্জ্বল হবে সৌরভের নেতৃত্বেই।’

বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন সৌরভ। ভারতের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারদের ইডেনে এনে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়েছিল বোর্ডের তরফে। আর এসবই যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিস্কপ্রসূত, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আজহারউদ্দিন থেকে কপিল দেব, অনিল কুম্বলে থেকে সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়-কে না ছিলেন সে দিন ইডেনে। এমনকী রাহুল দ্রাবিড়কেও ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান করেও অনেককে চমকে দিয়েছেন সৌরভ।

একই সঙ্গে আরও একটি দাবি রয়েছে সুনীল গাভাসকারের। ভারতীয় দলের প্রাক্তণ ক্রিকেটারদের চিকিৎসার ব্যয়ভারের নিরিখে নো-লিমিট পলিসিই চালু করুক বিসিসিআই, এমনটাই চাইছেন গাভাসকার। তার কথায়, ‘মেডিক্যাল অ্যাসিস্টান্সের খরচ বাবদ বিসিসিআই থেকে প্রাক্তনদের যা দেওয়া হয়, তার থেকে অনেক বেশিই খরচা হয়। দেশের অনেক প্রাক্তণ ক্রিকেটারই রয়েছেন, যাদের এই ব্যয়ভার বহন করার ক্ষমতা নেই। এটা একটা খুবই সিরিয়াস বিষয়। সবার জন্যই আলাদা করে বিষয়টা ভেবে দেখা উচিত। সূত্র: এই্ সময়


আরো সংবাদ



premium cement