নাঈম শেখ ও মোহাম্মদ মিথুনের ব্যাটে বাংলাদেশের সম্ভাবনার আলো জ্বলতে শুরু করেছিল নাগপুরে। তা নিভিয়ে দিয়েছেন ভারতের পেসার দীপক চাহার। একাই ৬ উইকেট নিয়ে রোববার সিরিজ নির্ধারণী টি-টোয়েন্টিতে গড়ে দিয়েছেন বড় পার্থক্য।
আশা জাগিয়েও হার, আক্ষেপে পোড়াচ্ছে সবাইকে। প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়ে থাকা দলটির সিরিজ হার (২-১) হতাশার হলেও শক্তিশালী একটি প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারায় খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব দিচ্ছেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন।
সিরিজের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক বললেন, ‘যদি অন্যভাবে দেখেন, এই সিরিজটা আমরা ভালো খেলেছি। যখন সিরিজ খেলতে ভারতে গিয়েছিলাম সবাই ভেবেছিল তিন ম্যাচেই হারব। কেননা ভারত খুব কঠিন প্রতিপক্ষ। ওই রকম দল না। সিরিজটা হয়ত আমরা অনায়াসেই হেরে যাব। যদিও বাংলাদেশ হেরেছে, তবে বলব সিরিজটা অন্যরকম হলেও হতে পারত।’
নাঈম ৮১, মিঠুন ২৭। বাকি আট ব্যাটসম্যানের রানের যোগফল ৩১। দুই ব্যাটসম্যানের লড়াকু ব্যাটিং আশা টিকিয়ে রেখেছিল ১৫ ওভার পর্যন্ত। কিন্তু মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ-আফিফদের দ্রুত বিদায়ে ১৭৫ রানের লক্ষ্যে ধূসর হতে থাকে পথ।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে জোড়া উইকেট পড়েছে চারবার। লিটন-সৌম্য, মিঠুন-মুশফিক, নাঈম-আফিফ, মোস্তাফিজ-আমিনুল। হারের পেছনে এটিকে বড় কারণই মনে করছেন হাবিবুল।
‘১৭৪ রান তাড়ায় একজন ৮৪ করেছে (আসলে ৮১), একজন ২৭ করেছে, বাকি কেউ রান করেনি। আগে ব্যাটিং করেন বা পরে যখন একসাথে দুটি উইকেট পড়ে, তখন সবসময়ই আপনি খেলা থেকে পিছিয়ে থাকবেন। পরপর দুটি উইকেট একবার হতে পারে, আমাদের কিন্তু তিনবার (হয়েছে চারবার) হয়েছে। প্রেসার ম্যাচে এটা বেশি হচ্ছে, ডিসাইডিং ম্যাচে বেশি হচ্ছে।’
টি-টোয়েন্টি সিরিজে বড় প্রাপ্তি নাঈম। শেষ ম্যাচে করেছেন দারুণ ব্যাটিং। প্রথম দুই ম্যাচেও ছিলেন ধারাবাহিক। প্রথম সিরিজেই দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান (১৪৩) করা এ বাঁহাতি ওপেনারের ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ হাবিবুল। ২০ বছরের তরুণ যে লম্বা রেসের ঘোড়া হবেন তা এখনই অনুমান করতে পারছেন নির্বাচক কমিটির এ সদস্য।
‘নাঈমের রান করাটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য খুব ভালো একটি খবর। দুই বছর ধরে ওকে হাই-পারফরম্যান্স দলে তৈরি করা হচ্ছিল। পারফরম্যান্স করারটা খুব জরুরি। অনেক মেধাবী খেলোয়াড়ই আসে কিন্তু পারফরম্যান্স সবার হয় না। নাঈমকে দেখে মনে হয়েছে সে একজন পারফর্মার। প্রথম দুটি ম্যাচে বড় রান করতে পারেনি। কিন্তু শেষ ম্যাচে রানটা বড় করেছে। সবাইকে দেখিয়েছে বড় রান করতে পারে।’
‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রান করতে একটি বিশেষ ক্ষমতা থাকা লাগে, মনে হচ্ছে ওর মধ্যে আছে। এটা খুব তাড়াতাড়ি। এত তাড়াতাড়ি মন্তব্য করা ঠিক নয়। মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেছে। মনে হচ্ছে ওর পেছনে যে বিনিয়োগটা আমরা করেছি, ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা