ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার প্রধান আসামি মো: রাব্বি ইসলামকে (২৩) গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার তাকে ফরিদপুরের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এর আগে, বুধবার রাতে ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাকে গ্রেফতার করে।
সিআইডির এলআইসি বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
রাব্বি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ছোট পাইককান্দি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের হাজরাকান্দা গ্রামের ৯ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ছয় মাস আগে প্রথমে প্রেমের ও পরে পরিবারিকভাবে বিয়ের প্রস্তাব দেয় রাব্বি। সর্ম্পকে মামাত বোন হওয়ায় আত্মীয়ের সাথে আত্মীয়তা করবে না বলে এ প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় মেয়েটির পরিবার।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাব্বি তার দু’সহযোগীকে নিয়ে ২৩ আগস্ট রাতে জোর করে বাড়ির পাশে বাগানে তুলে নিয়ে দলবদ্ধভাবে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। এরপর ওই রাতেই বিষপান করে মেয়েটি। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির পাঁচ দিন পর ২৯ আগস্ট সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার বর্ণনা জানিয়ে জবানবন্দি দেয় ভুক্তভোগী।
এ ব্যাপারে তার মা রাব্বি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন। পরে সিআইডির প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়ার নির্দেশে মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে সিআইডি।
বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, রাব্বি ওই স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তার প্ররোচনায় বিষপানে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। ধর্ষণে জড়িত তার দু’সহযোগীকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা