বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি উপকূলে আঘাতের সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার।’
শুক্রবার (১২ মে) ঘূর্ণিঝড় মোখার সবশেষ অবস্থান তুলে ধরতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
তিনি বলেন, মোখার প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস শুরু হতে পারে। তখন থেকে ওইসব এলাকায় এর প্রভাব শুরু হবে। বৃষ্টিপাতের সাথে বইবে দমকা বাতাস। পরদিন রোববার উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
তিনি আরো বলেন, মোখার গতি কমেছে। এটি আগে ঘণ্টায় ১৫ থেকে ১৬ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছিল। কিন্তু এখন তা কমে গড়ে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছে। বর্তমানে এর গতি ঘণ্টায় ৯ কিলোমিটার। এ গতিবেগ থাকলে রোববার দুপুর নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল দিয়ে এবং মিয়ানমারের উত্তর উপকূল দিয়ে মোখার অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে কক্সবাজার জেলা পুরোটাই এ মোখার আওতায় থাকবে। এখন পর্যন্ত ঝুঁকিতে আছে পুরো চট্টগ্রাম বিভাগ। এ ছাড়াও রয়েছে সেন্টমার্টিন, কক্সবাজার, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, হাতিয়া।
এই আবহাওয়াবিদ বলেন, এখন পর্যন্ত মোখার সুপার সাইক্লোন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে সিডরের মতো আই ফরমেশন বা চোখাকৃতির তৈরির দিকে এগুচ্ছে।
আজ থেকে সারা দেশে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। ১৩ তারিখ থেকে সারা দেশেই বেড়ে যাবে বৃষ্টিপাত।
সকাল পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এগোলেও একপর্যায়ে এটি উত্তর দিকে বাঁক নেয় এবং বিকেল নাগাদ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অর্থাৎ বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে আগানোর আশঙ্কা রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা