ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ও নোয়াখালীর নুরুল হক আধুনিক হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মিত হয়নি। ফলে বৃহত্তর, ফেনী, লক্ষ্মীপুর বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রায় ৭০ লাখ মানুষ উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
১৯৭৯ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদী মৌজায় হীনামন কুটিরে নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় এসে প্রকল্পটি বাতিল করে দেন। পরে পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য এম এ হাসেম নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা এবং ফেনী, লক্ষ্মীপুর থেকে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ- খোলা মেলা মনোরম পরিবেশ মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের জন্য সরকার থেকে ভূমি বন্দবস্ত নিয়ে ভূমি ভরাট করে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তার উত্তরে নোয়াখালী-কুভুল্লা মহাসড়কের পাশে এম এ হাসেম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্তু ১/১১ এর সরকারের আমলে সে লিজ বাতিল করে দেয়া হয়। বাতিলের স্থানে তৎকালীন সরকার নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০৮-২০০৯ সালে নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস ভর্তি শুরু হয়। মেডিক্যাল কলেজের অবকাঠমো নির্মাণ শেষ না হওয়ায় প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে অস্থায়ী ভাবে ক্লাস শুরু হয়। কলেজের ভবন নির্মাণ শেষ হওয়ার পর সেখানে ক্লাস শুরু হয়। বর্তমানে ১৪তম ব্যাচের লেখাপড়া চলছে। এ দিকে আওয়ামী লীগ সরকার নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজের নাম পরিবর্তন করে ২০১৪ সালের ৮ জুলাই। জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার মরহুম আ: মালেক উকিলের নামে, আ: মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজ নামকরণ করেন এবং নোয়াখালী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হক মিয়ার নামে নুরুল হক আধুনিক হাসপাতালের নামকরণ করে। ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো: নাসিম আবদুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজের পাশে ৫০০ শয্যার নুরুল আধুনিক হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। আ: মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজ চালু হলে ও ৫০০ শয্যার নুরুল হক আধুনিক হাসপাতাল অবকাঠামো এখনও নির্মিত হয়নি। ফলে নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুরের প্রায় ৭০ লাখ মানুষ উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মেডিক্যাল কলেজ যুক্ত হাসপাতাল হলে আইসিওসহ সব ধরনের চিকিৎসা উন্নত সেবা পেত রোগীরা।
জানা গেছে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট নুরুল হক আধুনিক হাসপাতালের ফাইলটি জাতীয় একনেক সভায় বারবার উঠার পর অনুমোদন না পাওয়ায় হাসপাতালটির অবকাঠামো নির্মিত শুরু হচ্ছে না। ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আইসিও না থাকায় জটিল রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়। কিন্তু এসব রোগীর বেশীর ভাগ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে মারা যায়। অন্য দিকে মেডিক্যাল কলেজের পাশে হাসপাতাল না থাকায় দীর্ঘ ১২ কিলোমিটার দূর নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা ইন্টার্ন করতে হয়। এতে ব্যাপক দুর্ভোগের শিকার হন শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি শিক্ষার্থীরা কলেজের পাশে হাসপাতাল নির্মাণসহ ২১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং কলেজের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তাদের মধ্যে প্রথম দাবি ছিল মেডিক্যাল কলেজ পাশে হাসপাতাল নির্মিত করা। হাসপাতাল নির্মিত না হওয়ায় সচেতন মানুষের মধ্যেও বিরাজ করছে চরম হতাশা।
এ ব্যাপারে নোয়াখালী আ: মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: মো: আবদুছ ছালাম বলেন, হাসপাতালের জন্য বারবার একনেক সভায় প্রস্তাবটি উত্থাপন হলে ও খুঁটিনাটি বিষয় পরিবর্তন করার জন্য বলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা