০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের ১৭ সদস্য গ্রেফতার

-

প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া সুইসড্রাম ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট কোম্পানির পরিচালক কাজী আল-আমিনসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে রথ্যাব। গত মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টন এলাকারসুইসড্রাম কোম্পানিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে প্রতারণায় ব্যবহৃত দুইটি ল্যাপটপ, একটি প্রজেক্টর, দু’টি সিল, দু’টি ব্যানার, চারটি ডায়েরি ও খাতা, একটি রেজিস্ট্রার, কোম্পানির ১২৫টি লিফলেট, প্রতারণায় ব্যবহৃত সুইসড্রাম কোম্পানির ভুয়া ওষুধ ও প্রসাধনীসামগ্রী, সুইসড্রাম কোম্পানির ২৫ সেট ডিস্ট্রিবিউটর ওয়ার্কিং ফাইল, ২৩টি মোবাইল ফোন ও এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৫ টাকা জব্দ করা হয়।
র্যাব বলছে, চক্রটি এস-ফ্যাক্টর নামে একটি ওষুধ যা ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ সারাতে পারে বলে প্রচারণা চালিয়ে আসছিল। এমনকি এই ওষুধ করোনা প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করে বলেও তারা প্রচার করত। প্রতারণার কৌশল হিসেবে তারা ঘন ঘন তাদের অফিস পরিবর্তন করত। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সুইসড্রাম কোম্পানির পরিচালক কাজী আল-আমিন, মো: সালাউদ্দিন, শেখ মো: আবদুল্লাহ, মনিরা ইয়াসমিন, মো: জাহিদ হাসান, মো: স্বপন মিয়া, মো: শাহজাহান, মো: মিজানুর রহমান, মো: বাদশা ওরফে সুলাইমান, ইমাম হোসাইন, মো: আবদুর রাজ্জাক ওরফে আনারুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মো: ফারুক উদ্দিন, আঞ্জুমান আরা বেগম, শেখ রবিন, ইমাম হোসাইন ও মোছা: আছমা বেগম।
এই চক্রের প্রতারণার বিস্তারিত তুলে ধরে গতকাল রথ্যাব-৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো: মোজাম্মেল হক জানান, প্রতারক চক্রটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও রাজধানীর বিভিন্নগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় জৌলুসপূর্ণ ও আকর্ষণীয় রেস্টুরেন্টে ভিকটিমদের নিয়ে সভা, সেমিনার, মোটিভেশনাল ওয়ার্কশপ, আকর্ষণীয় লাঞ্চ ও ডিনার পার্টির আয়োজন করত। অসহায়, নিরীহ অর্ধশিক্ষিত এমনকি শিক্ষিত শ্রেণীর ভিকটিমরা এ ধরনের জাঁক-জমকপূর্ণ আয়োজনে প্রলুব্ধ হয়ে খুব সহজেই তাদের প্রতারণার ফাঁদে পা দিতেন এবং নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে চক্রটি বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করত।
চক্রের হোতা সুইসড্রাম কোম্পানির পরিচালক কাজী আল-আমিন দামি ব্রথ্যান্ডের গাড়ি নিয়ে কোম্পানির নতুন সদস্যদের কাছে প্রবাসী ও বিভিন্ন দফতরের পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন। তাদের প্রলুব্ধ করে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে মনোনয়ন প্রদান করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন। ভিকটিমদের প্রলুব্ধ করে ও তথ্যাদি সংগ্রহ করে ভুলিয়ে নানা কৌশলে প্রতারক চক্রের অফিস কার্যালয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হতো। এরপর তাদের প্রতি গ্রাহক অথবা টার্গেট পূরণের জন্য নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা পারসেন্টেজ দেয়ার কথা বলে প্রতারণা করা হতো ও অধিক মুনাফা লাভের স্বপ্ন দেখানো হতো।


আরো সংবাদ



premium cement
দোয়ারাবাজারে মইন হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ উপজেলা নির্বাচন : দ্বিতীয় ধাপে ৬১ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে সিলেটে শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ঝালকাঠিতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে হত্যা, বাবা ও ভাই গ্রেফতার বন্যাবিধ্বস্ত কেনিয়া ও তানজানিয়ায় ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা জারি রাজধানীতে লেকে গোসলে নেমে ২ কিশোরের মৃত্যু ইসরাইলের ওপর কঠোর হতে বাইডেনের প্রতি ডেমোক্রেট কংগ্রেস সদস্যদের আহ্বান আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসা দখল নিতে ৬ জনকে কুপিয়ে জখম মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবনতি হচ্ছে কেন সোনাতলায় ২ আ’লীগ নেতা বিনাভোটে ভাইস চেয়ারম্যান শ্রীনগরে অগ্নিকাণ্ডে ৭টি ঘর পুড়ে ছাই

সকল