২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সাময়িক বরখাস্ত

শাহ আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ শপিং কমপ্লেক্সে নানা অনিয়ম

-

রাজধানীর মিরপুরে হজরত শাহ আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ শপিং কমপ্লেক্সকে ঘিরে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। রাজউকের নকশা ও নিয়ম উপেক্ষা করে কমপ্লেক্সের পার্কিং ভেঙে সেখানে আরো ৪৫টি দোকান তৈরির তোড়জোড় শুরু করা হয়েছে। তাদের এই কাজে বাধা দেয়ায় দোকান মালিকদের নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় একটি মামলা চলমান থাকলেও তা উপেক্ষা করে সন্ত্রাসী কায়দায় মার্কেটটি দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
শাহ আলী শপিং কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, মার্কটের নিয়ন্ত্রণ কলেজ কর্তৃপক্ষের। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দোকান বরাদ্দ দেয়ার সময় থেকে এ পর্যন্ত শাহ আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো: ময়েজ উদ্দিন চরম অনিয়ম ও দুর্নীতি করে গেছেন। তিনি কমপ্লেক্সের কার পার্কিংয়ের জায়গা ভেঙে সেখানে আরো ৪৫ দোকান নির্মাণ করার জন্য ডেভেলপার কোম্পানির সাথে চুক্তি করেন। অথচ ভবন নির্মাণের সময় এ ধরনের কোনো প্লানই রাজউক থেকে পাস করা হয়নি। তাদের এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ময়েজ উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার তদন্তভার বর্তমানে পিবিআইকে দেয়া হয়েছে। এরপরই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিনকে। কিন্তু টেকনোপাল কনস্ট্রাকশন কোম্পানির মালিক এরই মধ্যে নতুন করে আরো ৪৫টি দোকান তৈরির জন্য নির্মাণসামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছে। তাদের কাজে বাধা দিতে গেলেই নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
হজরত শাহ আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন বলেন, কলেজের অধ্যক্ষের অর্থ আত্মসাৎ, নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে আগে থেকে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর ডিসি অফিসে, ২০২০ সালে ২৭ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), একই বছরের ৯ নভেম্বর শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু সব জায়গায় টাকা দিয়ে তদন্ত কাজ বন্ধ করে রাখেন তিনি। এর আগে ২০০৮ সালের নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও জিআর ইনস্টিটিউটে দুর্নীতির অভিযোগে অধ্যক্ষ ময়েজকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ২০১২ সালের হজরত শাহ আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেন তিনি। ২০১৬ সালে দুর্নীতির দায়ে কলেজ কমিটি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
হজরত শাহ আলী মহিলা কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি প্রফেসর ড. মোকাদ্দেস হোসাইন বলেন, আমি মাত্র দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এ বিষয়ে আমি সব কিছু এখনো জানি না। ম্যানেজিং কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে হজরত শাহ আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো: ময়েজ উদ্দিনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।


আরো সংবাদ



premium cement