টঙ্গী রেলওয়ে জংশন এলাকায় স্থানীয় কেরানির টেক বস্তির নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সাথে বস্তিবাসীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত তিনজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। গত বুধবার রাতের এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আবারো সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বস্তিবাসী জানান, বস্তির সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য নিজেরা চাঁদা দিয়ে গত ১৯৮৮ সালে একটি ক্লাব ঘর প্রতিষ্ঠা করেন। বস্তির দল-মত নির্বিশেষে সবাই ওই ক্লাব ঘরটি ব্যবহার করতেন। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় বর্তমানে তারা ক্লাব ঘরটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন। এ অবস্থায় বহিরাগত ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নামধারী মাদককারবারিরা বস্তিতে মাদক ব্যবসায় পরিচালনার জন্য গত কয়েক দিন ধরে ক্লাব ঘরটি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাশের ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নামধারীরা ওই ক্লাব ঘরে অনধিকার বলে ঢুকে বস্তির লোকজনকে মারধর করে বের করে দেয় এবং ক্লাবে নতুন তালা লাগিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই বস্তিবাসী সরকারি দলের দায়িত্বশীল নেতাদের কাছে বিচারপ্রার্থী হন এবং থানায় আলাদা অভিযোগ দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নামধারীরা বুধবার ইফতারির পর দলবল নিয়ে বস্তিতে হামলা চালায়। টঙ্গীর চিহ্নিত একটি মাদকপরিবারের সদস্য ও একাধিক মামলার আসামি ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের কথিত যুবলীগ নেতা সাদ্দামের নেতৃত্বে হামলা শুরু হলে বস্তির মসজিদের মাইকে হামলাকারীদের প্রতিরোধের ঘোষণা দেয়া হয়। এ সময় বস্তিবাসী লাঠিসোটা নিয়ে হামলাকারীদের প্রতিরোধের চেষ্টা করলে দুইপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর গুরুতর আহত সাদ্দাম ও তার সহযোগী বিপ্লব ও আবু সাঈদকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। হামলার সময় আল-আমিন, নীরব, তুষার, জীবন, সেলিম আসাদসহ ৪৭ ও ৫৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ-যুবলীগ নামধারীরা গুলি করতে করতে বস্তিতে প্রবেশ করে বলে বস্তিবাসী অভিযোগ করেন। টঙ্গী পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: দেলোয়ার হোসেন জানান, বহিরাগত কিছু উশৃঙ্খল যুবক বস্তির একটি ক্লাব ঘর দখল করতে গেলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আবারো অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় বস্তিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। তবে বস্তিতে কোনো গুলাগুলির ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা