০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কেরানীগঞ্জে বাস টার্মিনাল নির্মাণের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

-

ঢাকার কেরানীগঞ্জে রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরাতে ঢাকার আশপাশে চারটি বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও মো: আতিকুল ইসলাম যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। ঢাকার দুই মেয়র বলেছেন, রাজধানীতে যাতে আন্তঃজেলা বাসগুলো প্রবেশ না করে ও সেখানে শুধু সিটি সার্ভিসগুলো চলে সেই চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় কেরানীগঞ্জ উপজেলার বাঘৈর মৌজায় ঢাকা সিটি করপোরেশন কর্তৃক আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এ এলাকার অর্ধসহস্রাধিক গ্রামবাসী।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজেন্দ্রপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে শতশত ভুক্তভোগী নারী-পুরুষ তাদের বাপ-দাদার বসতভিটা রক্ষা করার জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশনের আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ড করার সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানান। এই এলাকায় বাসস্ট্যান্ড না করে অন্যত্র করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবিও জানান তারা। মানববন্ধন শেষে বাসস্ট্যান্ড নির্মাণের সিদ্বান্তের প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মানববন্ধন কর্মসূচিতে এলাকাবাসীর মধ্যে উপস্থিত হাজী মেজবাহ উদ্দিন বাবুল, খায়রুল মেম্বর, শিপু আহমেদ, মোহাম্মদ রায়হান মিয়া ও মো: আলম। মানববন্ধনে উপস্থিত মোহাম্মদ রায়হান মিয়া বলেন, এই এলাকায় বেশ কয়েকটি ইটভাটা রয়েছে। এই এলাকায় বাস টার্মিনাল নির্মিত হলে এক একটি ইটভাটা ২০ লাখ থেকে দুই কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হবে। আমরা যারা বংশপরম্পরায় এ ব্যবসা করে আসছি তারা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হবো।
স্থানীয় বাসিন্দা হাজী মেজবাহ উদ্দিন বাবুল বলেন, ইতোমধ্যে সরকার বাঘৈর মৌজা থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনেক জায়গা অধিগ্রহণ করে নিয়েছে। এখন সামান্য কিছুই বাকি আছে, যেগুলা আমাদের বাপ-দাদার ভিটেমাটি, সরকারের কাছে দাবি এই ঘড়বাড়িগুলো না ভেঙে কেরানীগঞ্জে অনেক খালি জায়গা আছে সেখানে আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ড করা হোক।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বলেন, এখানে আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ড হলে পরিবেশ নষ্ট হবে, যানবাহনের শব্দে আশপাশের গ্রামবাসীর নানাবিধ সমস্যা হবে। তা ছাড়া অপর দিকে সেন্ট্রাল জেল থাকায় এটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে। আমাদের গ্রামবাসীর একটাই দাবি এখানে বসতভিটা, ফসলি জমি, বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙে স্ট্যান্ড না করে কেরানীগঞ্জের অন্যত্র খালি জায়গায় করুক।
জানা যায়, ঢাকা সিটি করপোরেশন রাজেন্দ্রপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে বাঘৈর মৌজায় কয়েক শ’ একর জমির ওপর আন্তঃজেলা একটি বাসস্ট্যান্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে বাঘৈর মৌজার জমির মালিকদের অবহিত করা হয়েছে। এতে স্থানীয় জমি ও বসতবাড়ির মালিকগণের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।


আরো সংবাদ



premium cement