স্বর্ণ ছিনতাইয়ের মামলায় গ্রেফতারকৃত দুই আসামি দুই দিনের রিমান্ডে। একই মামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের গাড়িচালক ইব্রাহিম শিকদার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। গতকাল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদেরকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড দেয়ার আবেদন করেন। একই মামলায় ইব্রাহিম খলিলকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়ার জন্য আবেদন করেন। আদালত দুই আসামি এমদাদুল ও আলমগীরের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং ইব্রাহিম শিকদারের জবানবন্দী রেকর্ড করার জন্য ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীকে দায়িত্ব দেন। তিনি দায়িত্ব পেয়ে আসামি ইব্রাহিম শিকদারের দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করেন। জবানবন্দী শেষে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, ৯০ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে গত ১২ জানুয়ারি পুরান ঢাকার জিন্দাবাহার লেনের এক ব্যবসায়ী কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ৭ জানুয়ারি ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কয়েক ব্যক্তি বাদিকে তুলে নিয়ে ৯০ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়। অজ্ঞাত ওই ব্যক্তিরা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে কোতোয়ালি থানা পুলিশ প্রথমে ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির দুই কর্মচারীকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সাকিব হোসেনের নাম জানালে সিপাহি আমিনুল ও সোর্স হারুনসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ মামলায় গ্রেফতার আটজনের মধ্যে তিনজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। অপর পাঁচ আসামি বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে রয়েছে। সহকারী পরিচালক সাকিব হোসেন মুন্সীগঞ্জ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তবে মাসখানেক ধরে তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করার জন্য রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করছেন। গত ১৮ জানুয়ারি জীপন পাল ও রতন কুমার দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দেন। গত ১৯ জানুয়ারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক এস এম সাকিব হোসেন, সোর্স হারুন ও সিপাহি আমিনুলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা