বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগ থেকে অবসরে যাওয়া অধ্যাপকদের পেনশনের টাকা পাওয়া নিয়ে নানা ভোগান্তির অভিযোগ উঠেছে। ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে অনেকেই নানাভাবে তদবির করছেন। দীর্ঘ দিন হয়রানির শিকার অনেকেই আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছেন। এ নিয়ে অধ্যাপকদের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
ভার্সিটি সূত্র জানায়, প্রতি বছর ভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগ থেকে অনেক সিনিয়র অধ্যাপক ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান অবসরে যান। অবসরে যাওয়ার পর তারা তাদের পেনশনসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার জন্য লিখিত আবেদন করার পর তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গত কয়েক মাসে বিভিন্ন বিভাগ থেকে প্রায় ৮ থেকে ১০ জন অধ্যাপক অবসরে গেছেন। আরো অনেকে এ বছরই যাবেন। তাদের স্থলে নতুন অধ্যাপক দায়িত্ব নিচ্ছেন। কিন্তু তারা পেনশনের ফাইল নাড়াচাড়া করতে গেলে পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
এ সম্পর্কে ভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা: মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের দফতর থেকে সাংবাদিকদের বলা হয়েছে, তাদের গ্রেড-২ ও গ্রেড-৩ নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনসহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে তাদের পেনশন নিতে হবে। এ ছাড়াও বিভাগগুলোর আগের ৩০ ভাগ কমিশনের টাকা নিয়ে জটিলতা আছে। দফতর থেকে বলা হয়েছে, বর্তমানে ওই দফতরে কোনো ফাইল নেই। সব ফাইল ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলেছেন, কোষাধ্যক্ষের দফতর থেকে আপত্তি দিয়ে ফাইল ছাড়লে তারা কিভাবে পেনশন পাবেন? ভার্সিটির অর্থ শাখা থেকে অনআপত্তি দিলেও কোষাধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে আপত্তি দেয়ায় জটিলতা বাড়ছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। ভার্সিটিতে শুধু পেনশনই নয়, ছোটখাট বিল বাউচার নিয়েও রহস্যজনক কারণে ভোগান্তি বাড়ছে। এতে নতুন করে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের কমিশনের টাকা আদালতের নির্দেশে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংকের একাউন্টের টাকা বিভিন্ন সময় এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে নিয়ে জমা রাখা হয়েছে। পরে বিষয়টি ভিসি কার্যালয়ের নজরে এলে তার খোঁজখবর নেয়া হয়। আর্থিক অনিয়ম নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকতারা খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। ভার্সিটির কোনো কোনো কর্মকর্তা নানাভাবে প্রশাসনের উপর প্রভাব বিস্তার করে প্রশাসনে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ দিকে ভিসি অফিসসহ একাধিক ঊর্ধ্বতন সূত্র জানায়, পেনশননের সব ফাইলে আপত্তি দেয়ার কারণে অনুমোদন নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ করে দ্রুততম সময়ে সমাধানে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
অধ্যাপকদের পেনশন জটিলতা নিয়ে জানার জন্য ভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা: মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের মোবাইলে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা