করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মৌসুমি ফল নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন রাজশাহী অঞ্চলের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ-নাটোরের বাগানগুলোতে আম উৎপাদিত হলেও তা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানো তাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ব্যবসায়ী ও কৃষকদের দাবির বিষয়টি নিয়ে গত ১৬ মে দৈনিক নয়া দিগন্তে ‘রাজশাহীর আম লিচু পরিবহনে ট্রেনের দাবি ব্যবসায়ীদের’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই দিনই কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চায় কৃষি মন্ত্রণালয়। বিষয়টি যাচাই-বাছাই ও প্রক্রিয়া শেষে আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে এ বিশেষ ট্রেনের যাত্রা। রহনপুর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী হয়ে আম নিয়ে দু’টি পার্সেল ট্রেন ঢাকার পথে চলাচল করবে।
আমবাহী বিশেষ পার্সেল ট্রেনের নাম দেয়া হয়েছে ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ১ ও ২’। ট্রেন দু’টি সপ্তাহের প্রতিদিন চলাচল করবে। আর আমের পাশাপাশি সব ধরনের শাকসবজি, ফলমূল, ডিমসহ উত্তরের বিভিন্ন কৃষিজাত দ্রব্যও এতে পরিবহন করা হবে।
রেলের পশ্চিমাঞ্চল সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিন্টেনডেন্ট আওয়াল আরিফ বলেন, প্রতিদিন বিকেল ৪টায় আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়বে বিশেষ পার্সেল ট্রেন ম্যাঙ্গো স্পেশাল। ট্রেনটি আম নিয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ১টা নাগাদ। ছয়টি বগি নিয়ে প্রতিটি ট্রেনে একসাথে ২৭০ টন আম যাবে ঢাকায়।
আম উঠবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন, আমনুরা বাইপাস, রাজশাহীর কাঁকনহাট, রাজশাহী, সরদহ রোড, আড়ানী এবং নাটোরের আবদুলপুর স্টেশন থেকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকায় আম নিতে কেজিপ্রতি ভাড়া লাগবে এক টাকা ৩০ পয়সা। আর রাজশাহী থেকে ভাড়া এক টাকা ১৭ পয়সা। ব্যবসায়ীরা আম নামাতে পারবেন টাঙ্গাইল, মির্জাপুর, কালিয়াকৈর, হাইটেক সিটি, জয়দেবপুর, মৌচাক, টঙ্গি, বিমানবন্দর, ক্যান্টনমেন্ট ও কমলাপুরে।
তিনি আরো বলেন, করোনাকালে সীমিত রয়েছে এই রুটের ট্রেন চলাচল। এ পরিস্থিতিতে ট্রেন দু’টি চলাচল করবে। তবে অন্যান্য ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলে বিশেষ এই ট্রেন চালুর বিষয়ে পুনরায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান এ রেল কর্মকর্তা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা