২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুই মামলায় সম্রাটের রিমান্ড শুনানি আজ

-

যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি (বহিষ্কৃত) ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে রমনা থানায় দায়ের করা দুই মামলায় রিমান্ডের আবেদন শুনানি হবে আজ।
গত ৭ অক্টোবর সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের আইনে দায়ের করা দুই মামলার প্রতিটিতে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর ওই আবেদন শুনানির জন্য ৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেন বিচারক। ওই দিন সম্রাট অসুস্থ থাকার কারণে তাকে আদালতে উপস্থিত না করায় রিমান্ড শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ ১৫ অক্টোবর তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।
গত ৫ অক্টোবর শনিবার গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে সম্রাটকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় তার সহযোগী যুবলীগের আরেক নেতা আরমানকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে সম্রাটকে সাথে নিয়ে রাজধানীর কাকরাইলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ কার্যালয়ে এবং শান্তিনগর ও মহখালীতে তার দুটি বাসায় অভিযান চালানো হয়। একই সময়ে অভিযান চলে মিরপুর দুই নম্বর সেকশনে আরমানের বাসায়। পাঁচ ঘণ্টা অভিযান শেষে কাকরাইলে সম্রাটের কার্যালয় থেকে গুলিসহ একটি বিদেশী পিস্তল, এক হাজার ১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশী মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং কিছু বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উদ্ধার করে র্যাব। ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দিন কুমিল্লায়ও আরমানের পাশাপাশি সম্রাটকেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এরপর গত ৭ অক্টোবর সম্রাটের বিরুদ্ধে রমনা থানায় দুটি মামলা দায়ের করেন র্যাবের নায়েব সুবেদার আব্দুল খালেক। এ প্রসঙ্গে র্যাব সদর দফতরের উপপরিচালক (মিডিয়া) মিজানুর রহমান বলেন, সম্রাটের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা র্যাবই তদন্ত করবে। ইতোমধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সম্রাটের বিরুদ্ধে দায়ের করা অস্ত্র মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদে ও স্থানীয় তদন্তে জানা গেছে, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি হিসেবে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাব পরিচালনা করতেন। তার নিয়ন্ত্রণে ক্লাবগুলোয় ক্যাসিনোসহ জুয়ার আসর বসত। জুয়াখেলা থেকে তিনি বিপুল অর্থ-সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। তিনি নিজেও ক্যাসিনো খেলায় সিদ্ধহস্ত। প্রতিমাসে ক্যাসিনো খেলার জন্য তিনি সিঙ্গাপুর যেতেন। সবার কাছে তিনি ক্যাসিনো সম্রাট হিসেবে পরিচিত। মতিঝিল, আরামবাগ, ফকিরাপুল, পল্টনসহ ১০টি ক্লাবে ক্যাসিনো কারবারে তিনি জড়িত ছিলেন। তার রয়েছে বিশাল ক্যাডার বাহিনী। অবৈধ উপার্জন করে তিনি এই ক্যাডার বাহিনী চালাতেন। সম্রাটের অন্যতম সহযোগী কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্রাটের দেখানো মতে তার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ৭.৬৫ বোরের একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দুটি ইলেকট্রিক টর্চার মেশিন, দুটি লাঠি, ১৯ বোতল বিদেশী মদ, চার প্যাকেট তাস, ছয়টি নীল রঙের প্যাকেট থেকে এক হাজার ১৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুখতে ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট দেবে যুক্তরাষ্ট্র আইনগত সহায়তা পাওয়া করুণা নয় অধিকার : আইনমন্ত্রী টিউবওয়েলের পানি খেয়ে আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অসুস্থ নারী আম্পায়ার নিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আসলে কী ঘটেছিল? কোরবানির জন্য পশু আমদানির পরিকল্পনা নেই : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আশুলিয়ায় নারী পোশাকশ্রমিক নিহত, স্বামী গ্রেফতার জাতিসঙ্ঘের ত্রাণকর্মীদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি অভিযোগ প্রত্যাখ্যান ৭ খুন মামলার রায় কার্যকরের দাবি পরিবার ও আইনজীবীদের জামালপুরে শ্রেণিকক্ষে ফ্যান খুলে পড়ে শিক্ষার্থী আহত নিজ নিজ ম্যাচে জয়ী হয়ে লা লিগায় শীর্ষ চারের আরো কাছাকাছি এ্যাথলেটিকো ও জিরোনা নাগরপুরে ট্রাক্টর-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত

সকল