০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


চার দিনে সরকারের ব্যাংকঋণ ৪ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা

-

সঞ্চয়পত্রের পাশাপাশি ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণ বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার দিনে (৪ জুলাই পর্যন্ত) ব্যাংক থেকে ঋণ তুলে নেয়া হয়েছে চার হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, গত ৩০ জুনে ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের ঋণের স্থিতি ছিল ৯০ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা, গত ৪ জুলাই শেষে তা বেড়ে হয়েছে ৯৫ হাজার ২৩০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনের বছরে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বেশি হারে বাস্তবায়ন হবে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে বেশি অর্থের প্রয়োজন হবে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় না হলে ও কাক্সিক্ষত হারে বিদেশী ঋণ না এলে ব্যাংকঋণ বেশি হারে নিতে হবে। যদিও কয়েক বছর ধরে সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ না নিয়ে ফেরত দিয়েছে। এতে কমে গিয়েছিল সরকারের ব্যাংকঋণের স্থিতি। তবে বিপরীতে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণগ্রহণ রেকর্ড হারে বেড়েছে।
সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণ বেশি হারে বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে ব্যাংকাররা জানান, কয়েক বছর ধরে ব্যাংকে বিনিয়োগের চাপ ছিল না। শিল্পকারখানায় গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাবে কাক্সিক্ষত হারে নতুন উদ্যোক্তা আসেনি। ফলে সাধারণ গ্রাহকের কাছ থেকে পাওয়া আমানত একসময় ব্যাংকের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। বাধ্য হয়ে ব্যাংকগুলো তহবিল ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমাতে আমানতের সুদহার কমিয়ে দেয়। কিন্তু সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে মুনাফার হার সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ পর্যন্ত রয়েছে। ফলে ব্যাংকে আমানত রাখতে সাধারণ গ্রাহক নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েন। ফলে বেশি মুনাফার আশায় মানুষ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে থাকেন। এভাবেই অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান মতে, সমাপ্ত অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেয় ৪৩ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল প্রায় ৪৭ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এমনিতেই ব্যাংকিং খাতে বর্তমানে কিছুটা তারল্য সঙ্কট রয়েছে। ফলে ব্যাংকঋণের সুদহার ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। যদিও নয়-ছয় সুদহার কার্যকর করার ব্যাপারে ব্যাংকগুলো বিবেচনা করছে। এ পরিস্থিতিতে সরকারের ব্যাংকঋণ বেড়ে গেলে তারল্যের ওপর আরো কিছুটা চাপ বেড়ে যাবে। এতে বেসরকারি খাতের ঋণের ওপরও প্রভাব পড়বে।
এ দিকে স্থানীয় বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে চলছে। সেই সাথে বাড়ছে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম। ফলে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আগামী ছয় মাসের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়নে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন নীতিনির্ধারকেরা। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, নির্বাচনী বছরে টাকার প্রবাহ বেড়ে যাবে। কিন্তু সেই সাথে বাড়ছে মূল্যস্ফীতির চাপ। ফলে টাকার প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী চাপ ঠেকানো যাবে না। এটিই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন নীতিনির্ধারকেরা। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভায় এ বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। সভায় মূল্যস্ফীতি যেকোনো উপায়ে সহনীয় রাখার কৌশল প্রণয়নে পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
ডিবি কার্যালয়ে মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে সুন্দরবনে আগুন : নেভানোর চেষ্টা চলছে, তবে সময় লাগবে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা আ’লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত : কাদের মুসলিমদের ঐক্য ও সংহতি বাড়ানোর লক্ষ্যে গাম্বিয়ায় ওআইসির সম্মেলন শুরু ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ও সেনা প্রাঙ্গণ ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ৩ বাংলাদেশী আহত মধুখালীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকচালক নিহত, আহত হেলপার বরিশালে নথুল্লাবাদ টার্মিনাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ নয়া দিগন্তের শৈলকুপা সংবাদাতার ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৩৯ সুন্দরবনে জ্বলছে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট

সকল