২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নাঙ্গলকোটে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনা

নাঙ্গলকোটে ট্রেন দুর্ঘটনার পর নির্দিষ্ট গতির নির্দেশ

- ছবি : সংগৃহীত

নাঙ্গলকোটে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় পর অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে চলাচলকারী ট্রেনগুলো নির্দিষ্ট সময়ের কিছু পরে গন্তব্যে পৌঁছবে।

শুক্রবার দুপুরে নাঙ্গলকোট রেলস্টেশন মাস্টার জামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নাঙ্গলকোট রেলস্টেশন মাস্টার জামাল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার লাইন মেরামত কাজ সম্পূর্ণ হওয়ায় আপ এবং ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে, লাইনচ্যুতের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত আপলাইনে নতুন রেললাইন বসানোর কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আপলাইনের ১০৮.৯ থেকে ১০৯.০ পর্যন্ত ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।’

উল্লেখ্য, রোববার (১৭ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের হাসানপুর ও গুণবতী স্টেশনের মধ্যবর্তী নাঙ্গলকোটের শিহর গ্রামের তেজের বাজার সংলগ্ন এলাকায় বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে ১৮টি বগি আলাদা হয়ে নয়টি বগি লাইন থেকে ছিটকে পড়ে যায়। এ সময় ট্রেনের বগি ছিটকে গিয়ে রেলপথ সংলগ্ন দু’টি বসত ঘরে পড়ে ঘরগুলো তছনছ হয়ে যায়।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী শিপন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা, ওই রেলপথের তেজের বাজার এলাকার আপলাইনের ২০৮ নম্বর ব্রিজের কাঠের স্লিপার ভেঙে গিয়ে ইঞ্জিন থেকে বগিগুলো আলাদা হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের আপ লাইনের ৩০০ মিটার লাইন স্লিপার থেকে খুলে রেলপথ থেকে কমপক্ষে ১০০ মিটার দূরে গিয়ে পড়ে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত যাত্রীদেরকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় স্থানীয়রা। বগিগুলো ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের উভয় লাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাাম-সিলেট, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর, চট্টগ্রাম-জামালপুর রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ১৫ ঘণ্টার উদ্ধার অভিযানের পর ডাউন লাইন চালু করে রেল কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ভোরে দুর্ঘটনা কবলিত আপলাইনের মেরামত শেষে লাইনচ্যুত হওয়া বগিগুলো উদ্ধার করায় আপ ও ডাউন লাইনে চারদিন পর গতকাল ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।


আরো সংবাদ



premium cement