চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মলংচর ও হাসর গ্রামের স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহতরা হচ্ছেন মলংচর গ্রামের আবু সায়েদ (২৫), তাজুল ইসলাম (৩২) ও মিজান (২৬)। এ সময় মলংচর গ্রামের ৮টি দোকান ভাংচুর এবং মালামাল লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতভেদের কারণে এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক পৌনে ৮টার সময় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে চাটখিল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুই গ্রুপের সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
অভিযোগ রয়েছে হাসর গ্রামের ওবায়েদ উল্যাহসহ স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার ইন্দ্বনে এ ঘটনা ঘটেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন জানিয়েছেন, হাসর গ্রামের সাব্বির ও মিরাজ প্রায় সময় অস্ত্র নিয়ে ঘুরাঘুরি করে এলাকাবাসীকে ভয়ভীতি দেখায়। এছাড়া হাসর গ্রামের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়েদ উল্যাহ ৭২ সদস্য বিশিষ্ট যুবসমাজ নামে একটি কমিটি করে এ কমিটির সদস্যদের দিয়ে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের উত্তরাঞ্চলে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে থাকে। ওবায়েদ উল্যার ভয়ে এলাকাবাসী সবসময় আতঙ্কে থাকে। এসব অভিযোগের ব্যাপারে ওবায়েদ উল্যার মতামত জানার জন্য তার সাথে যোগাযোগ করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে চাটখিল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সংঘর্ষ শুরু হওয়ার খবর পেয়েই তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ২ গ্রুপের সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে থানায় এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা